জুড়ল নবম ভাষা, ওড়িয়ায় এবার পথ চলা শুরু করল ওয়ানইন্ডিয়া
ওড়িয়া ভাষায় এবার পথ চলা শুরু করল ওয়ানইন্ডিয়া
বিগত কয়েক বছরের উন্নয়নের নিরিখে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির মধ্যে একটি হিসেবে উঠে এসেছে ওড়িশা। এই রাজ্যের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পূর্ব ভারতের এই সুন্দর রাজ্যের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করতে পেরে ওয়ানইন্ডিয়া, ভারতের অন্যতম অগ্রণী সংবাদ পোর্টাল গর্বিত। এবার ওড়িয়া ভাষায় পথ চলা শুরু করলাম আমরা। এই নিয়ে নবম ভাষা ওড়িয়া, যে ভাষায় আমরা এবার এগিয়ে চলব। এই পোর্টালে খবর, মতামত, বিনোদন এসব কিছুই দেখতে পাবেন। এককথায় ওড়িয়া ভাষায় আপনি নিজের রাজ্যের তথা দেশ-বিদেশের সমস্ত খবর দেখতে পাবেন, পড়তে পারবেন https://odia.oneindia.com এ।
ওড়িশা এলাকা অনুযায়ী দেশের অষ্টম বৃহত্তম রাজ্য এবং জনসংখ্যা অনুযায়ী একাদশতম স্থানে রয়েছে। বিভিন্ন পুরনো মন্দির এবং দর্শনীয় স্থানের কারণে ওড়িশা প্রথম থেকেই পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এই রাজ্য বিখ্যাত বেশ কয়েকটি জাতীয় উদ্যানের জন্যও।
ওড়িয়া ভাষা দশম শতাব্দীতে ব্যপ্তি লাভ করেছে। এই ভাষায় লেখালেখি স্বীকৃতি পায় পনেরোশো শতকে এসে। তারপরে তা ডালপালা মেলে আঠারোশো শতকে। ওড়িয়া ভাষাযকে বহু বিখ্যাত মানুষ তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন।
ওড়িশা প্রথম থেকেই পর্যটকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। পুরীর মন্দির, কোনারকের মন্দির, ভুবনেশ্বর, বালাসোর, সম্বলপুর, কেওনঝড়, জেপুরের মতো বিভিন্ন এলাকার সারা বছর বহু পর্যটকের সমাগম হয়।
এই রাজ্যে সর্বধর্ম সমন্বয়ের চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বেশি। এর পাশাপাশি রান্নার ক্ষেত্রে উড়িষ্যার নাম সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। পুরীর মন্দিরে পৃথিবীর বৃহত্তম রান্নাঘর রয়েছে। যেখানে এক হাজারের বেশি পাচক প্রতিদিন কাজ করে চলেছেন। হাজার হাজার মানুষকে সেখানে খাওয়ানো হয়। সব মিলিয়ে ওড়িশার মতো রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত।