লকডাউনের অশনিসংকেত, এবার টান পড়তে চলেছে গৃহস্থের ভাঁড়ারে
লকডাউন চলাকালীন পরপর ঘোষণা হচ্ছে সাহায্য, আর্থিক প্যাকেজ। তবে তার কতটুকু পৌঁছাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে? এই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা তো গত ৫০ দিন ধরে ভারতে দেখেই এসেছে। এবার সাধারণ মানুষের ভাঁড়ারে টান পড়তে চলেছে। এমনটাই জানাচ্ছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির এখটি সমীক্ষা।
রশদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ৩৪ শতাংশ পরিবারের
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির সমীক্ষাটি জানাচ্ছে দেশে ইতিমধ্যেই ৮৪ শতাংশ গৃহস্থের মাসিক আয় কমে গিয়েছে। এই মুহূর্তে দেশের ২৫ শতাংশ কর্ম সক্ষম মানুষ কর্মসংস্থানহীন। এছাড়া দেশের ৩৪ শতাংশ গৃহস্থের রশদ শেষ হয়ে যাবে আর মাত্র এক সপ্তাহেই।
দেশের বেকারত্বের হার ২৫.৫ শতাংশ
লকডাউন ঘোষণার আগে ২১ মার্চেও দেশে বেকারের হার ছিল ৭.৪ শতাংশ। এই ৫০ দিনের লকডাউনে সেই হার গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৫ শতাংশে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা শহরের থেকে অনেকটাই খারাপ। গ্রামে ৫৪ শতাংশ গৃহস্থ জানিয়েছে যে এই পরিস্থিতিতে তারা এক সপ্তাহ কোনও মতে চালিয়ে নিতে পারবেন।
ভুগছে বিহার ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলি
দিল্লি, পাঞ্জাব, কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়। তবে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এই রাজ্যগুলিতে মানুষের বেকারত্বের হার বাকি দেশের থেকে বেশি। এখানে রশদ আছে এমন পরিবারের সংখ্যাও বাকি দেশের থেকে অনেকটাই কম।
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্যাকেজ
গতরাতে প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণে আর্থিক প্যাকেজে ভূমি, শ্রম, নগদ ও লোকসানের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। মোট ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে মোদী জানান, এই প্যাকেজ দেশের জিডিপির ১০ শতাংশ। এই প্যাকেজ দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে
লকডাউনে সবচেয়ে সংকটে পড়েছেন গরিব মানুষ
করোনা ভাইরাসে লকডাউনে সবচেয়ে সংকটে পড়েছেন গরিব মানুষ দিন মজুররা। রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের অন্নের সংস্থানে এগিয়ে আসতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই নতুন প্যাকেজ বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদীর ঘোষণায় উর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজার! কয়েক মিনিটেই তরতরিয়ে উঠল সেনসেক্স