পাঁচজনের মধ্যে একজন মহিলা যৌন হেনস্থা ফোন কল পান, জানিয়েছে ট্রুকলার
পাঁচজনের মধ্যে একজন মহিলা যৌন হেনস্থা ফোন কল পান, জানিয়েছে ট্রুকলার
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে ট্রুকলার প্রকাশ করল তাদের তৃতীয় তম রিপোর্ট, যার নাম 'ভারতে হয়রানি কল এবং এসএমএসের প্রভাব বোঝা’। রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে, পাঁচজনের মধ্যে একজন মহিলার কাছে যৌন হেনস্থা ও আপত্তিজনক ফোন আসে। মহিলাদের এ ধরনের ফোনের ব্যাপারে শীর্ষে রয়েছে ভারত।
যৌন হেনস্থা বা আপত্তিকর ফোনে জেরবার মহিলারা
ট্রুকলার জানিয়েছে, দেশের ৮৫ শতাংশ মহিলা আপত্তিকর ফোন পাওয়ার পর সেই নম্বরটি ব্লক করে দেন। অন্য ৪৫ শতাংশ মহিলা টেলিকম সংস্থার থেকে সহায়তা চান ও বাকি ৪৫ শতাংশ মহিলা নম্বরটি খোঁজ শুরু করেন। এই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে এরকম মহিলারাও রয়েছেন যাঁরা কোনও পদক্ষেপই নেন না। ট্রুকলার জানিয়েছে, ‘৪৪ শতাংশ মহিলা এ ধরনের হয়রানি ফোন পাওয়ার পরও তা এড়িয়ে যান এবং ১২ শতাংশেরও কম মহিলা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।'
অধিকাংশ ফোন আসে অজ্ঞাত নম্বর থেকে
ট্রুকলারের সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে যে ৭৬ শতাংশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরাই হেনস্থা কল করে থাকে মহিলাদের। মাত্র ৪ শতাংশ হয়রানি ফোন পাওয়া যায় পরিচিতদের কাছ থেকে। জানা গিয়েছে, কোনও রিচার্জের দোকানে, রেস্তোরাঁতে, শপিং করার সময়, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় বা লগবুকস পূরণের সময় মহিলারা তাঁদের ফোন নম্বর ব্যবহার করেন। সেখান থেকেও হেনস্থা কল আসতে পারে।
হেনস্থার কলে শীর্ষে চেন্নাই
শহরের মহিলাদের কাছে হেনস্থা কল বেশি আসে। যার মধ্যে চেন্নাই শীর্ষে রয়েছে, তারপরই দিল্লি, পুনে ও কলকাতা। এই সব কল পাওয়ার পর মহিলারা কি ধরনের আচরণ করে তাও সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ট্রুকলার জানিয়েছে, ‘ভারতের ৬৭ শতাংশ মহিলা বিরক্ত বোধ করেন, ৬০ শতাংশ রেগে যান, ২৯ শতাংশ চিন্তায় পড়ে যান, সমস্যায় পড়েন ২৯ শতাংশ এবং ২১ শতাংশ ভয় পান।' কেনিয়া, কলোম্বিয়া, ব্রাজিল ও ইজিপ্টেও ট্রুকলার তাদের এই সমীক্ষা চালিয়েছে