লখনউয়ে গণধর্ষণ-খুনে ধৃত এক, যৌন নিগ্রহ হয়নি, দাবি পুলিশের
লখনউয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার জানান, ধৃত ব্যক্তির নাম রামসেবক ওরফে রাজু। কয়েক দিন ধরে ওই মহিলা লখনউয়ের উপকণ্ঠে মোহনলালগঞ্জে ঘোরাঘুরি করছিলেন ভাড়াবাড়ির খোঁজে। রাজু তাঁকে বলে, সে এই এলাকায় অনেক ভাড়াবাড়ির খবর রাখে। ভালো বাড়ি পাইয়ে দেবে। ১৬ জুলাই সন্ধেবেলা ওই মহিলাকে বালসিংখেড়া গ্রামে আসতে বলে রাজু। সেখানে এলে তাঁকে বাড়ি দেখানোর নাম করে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের ফাঁকা প্রাইমারি স্কুলে। তার পর তাঁর ওপর চড়াও হয়ে টাকাপয়সা কেড়ে নেয়। ওই মহিলা বাধা দিলে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়। লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। ১৭ জুলাই সকাল সাড়ে ছ'টার সময় গ্রামের চৌকিদার ওই মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। থানা কাছাকাছি হলেও পুলিশ দু'ঘণ্টা পর অর্থাৎ সাড়ে আটটা নাগাদ আসে বলে অভিযোগ। ততক্ষণ নগ্ন শবটি ওইভাবে পড়েছিল।
পুলিশের দাবি, গণধর্ষণ তো দূরের কথা, ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এই দাবি ঘিরে বির্তক ছড়িয়েছে। কারণ ঘটনাস্থল থেকে ওই মহিলার নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। যোনিদেশ ছিন্নভিন্ন ছিল। পোশাক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এদিকে-ওদিকে। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন তাই পুলিশের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের বক্তব্য, ধর্ষণের ঘটনা মেনে নিলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের শোরগোল হবে। তাই ধামাচাপা দিতে মরিয়া পুলিশ।
ধৃত ব্যক্তির হেফাজত থেকে একটি বাজাজ ডিসকভার মোটরবাইক, হেলমেট ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের এডিজি সুতপা সান্যাল বলেন, ওই মহিলার নগ্ন মৃতদেহের ছবি কীভাবে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ল, কারা তুলল ইত্যাদি জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব বলেছেন, মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁর দুই সন্তানের পড়াশুনো ও ভরণপোষণের যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। তাঁর অভিযোগ, মিডিয়া এই মৃত্যু নিয়ে মুখরোচক গল্প বানাচ্ছে। এরা বন্ধ হওয়া উচিত।