ফের হাথরাস, এবার অমানবিকতার শিকার ৪ বছরের শিশুকন্যা! পুলিশের জালে অভিযুক্ত আত্মীয়
হাথরাসের সেই ভয়াবহ ঘটনার একমাস পূর্ণ হল সবে। আর তারই মাঝে ফের বিভীষিকার কালো চাদরে মুড়ি দিল উত্তরপ্রদেশের এই এলাকা। ১৯ বছরের যুবতীর গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে এখনও গোটা দেশ তোলপাড়। এরই মধ্যে জানা গেল যে হাথরাসেই এবার অমনাবিকতার শিকার এর চার বছরের শিশুকন্যা। এক নাবালিকার উপর এহেন অত্যাচারের ঘটনা সবার হাড় হিম করে দিয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ যা জানিয়েছে
এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত সেই পরিবারেরই এক আত্মীয়। পুলিশের সার্কেল অফিসার রুচি গুপ্তা এই ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন মঙ্গলবার শিশুকন্যাটি নিজের বাড়ির দালানে খেলছিল। সেই সময় অরবিন্দ নামে একটি যুবক এসে তাকে একা দেখে। তাকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত অরবিন্দকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নাবালিকার কাকা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন
হাথরাসের সাসনি বলে একটি জায়গায় হওয়া এই ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকাতেই। এদিকে এই ঘটনার আঁচ পেতেই শিশুটির মা-বাবা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসক জানায় যে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে এরপরই শিশুটির কাকা এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে।

নির্যাতিতার গ্রামে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা
হাথরাসের ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার নির্যাতিতার গ্রামে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। যুবতীর ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী যে মিলেট খেতে সেদিন যুবতীর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল, সেখানেও যান তাঁরা। যুবতীর অসুস্থ মাকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন যুবতির ভাই, একজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল
দু'সপ্তাহ ধরে দিল্লির এক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ার পর মৃত্যু হয় যুবতির। আর এরপর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ওই বিশেষ তদন্তকারী দলের। পরে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও দশ দিন বাড়ানো হয়।

সংঘাতের আবহে লাদাখে সংসদীয় দল, গ্রাউন্ড জিরো সফরের নেতৃত্বে অধীর চৌধুরী