কোভিড দ্বিতীয় ওয়েভে দেশবাসীর পাশে কেন্দ্র, বিনামূল্যে ১ লক্ষ টন খাদ্যশস্য বন্টন ১৩টি রাজ্যে
কোভিড দ্বিতীয় ওয়েভে দেশবাসীর পাশে কেন্দ্র, বিনামূল্যে ১ লক্ষ টন খাদ্যশস্য বন্টন ১৩টি রাজ্যে
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের জেরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ফের বিপন্ন হতে চলেছে। এরকম পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনাতে মে মাসে ৪০ লক্ষ টন বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত এক লক্ষ টন বন্টন করা হয়ে গিয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে।
মে মাস থেকে বন্টন শুরু হয়ে গিয়েছে
খাদ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক ভার্চুয়ালি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে মে মাসের প্রথম ১০দিনে ১৩ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বন্টন শুরু হওয়ার পরই পিএমজিকেএওয়াই ৮০ কোটি সুবিধাভোগীকে ২.০৩ কোটি শস্য বন্টন করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ত্রিপুরা এবং উত্তরাখণ্ড সহ রাজ্যগুলিতে ৫ কেজি করে বিনামূল্যে চাল ও গম বন্টন করা শুরু হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এস. জগন্নাথ জানিয়েছেন যে ২০২০ সালে প্রথম কোভিড-১৯-এর পিএমজিকেএওয়াই-এর বাস্তবায়নের আটমাসের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে এ বছরের অগ্রগতি প্রত্যাশিত জায়গায় রয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকরাও পাবেন খাদ্য শস্য
লকডাউনে প্রভাবিত পরিযায়ী শ্রমিক ও যাঁদের রেশন কার্ড নেই তাঁদের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে পাণ্ডে বলেন, 'এখন পরিযায়ী শ্রমিকরা এ ধরনের সঙ্কটের মুখে আর পড়বেন না। যেমনটা আগের বছরের লকডাউনে হয়েছিল।' তিনি জানিয়েছেন, এ বছর কোনও জাতীয় লকডাউন নেই, কিন্তু রাজ্য ও স্থানীয় লকডাউন কার্যকর রয়েছে। তিনি জানান যে পরিযায়ীরা তাঁদের গ্রামে পৌঁছে রেশন তুলতে পারবেন, যাঁরা এখনও শহরে রয়েছেন তাঁরা রেশন কার্ড বহনযোগ্যতা প্রকল্পটি ব্যবহার করতে পারবেন। পাণ্ডে এও জানিয়েছেন যে কেন্দ্র খাদ্যশস্যের মজুত অল্প দামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠঠন ও রাজ্য সরকারকে বিক্রি করছে, যাতে যাঁদের রাজ্যের রেশন কার্ড রয়েছে তাঁরা সুবিধা নিতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সমাজ কর্মীরা
যদিও খাদ্যের অধিকার নিয়ে সরব হওয়া সমাজ কর্মীরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের আবেদন করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় লকডাউনের কারণে পরিযায়ী শ্রমিকরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং যাঁদের রেশন কার্ড নেই তাঁদের গত বছরের প্রকল্পের মতো পুনরায় বিনামূল্যে খাদ্য শস্য দেওয়া হোক। সোমবার প্রধান বিচারপতিকে তাঁদের আবেদনের জরুরি শুনানি চেয়ে আবেদন করা এক খোলা চিঠিতে আবেদনকারী হর্ষ মন্দার, অঞ্জলি ভরদ্বজ ও জগদীপ ছোকার জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের অর্থ স্থানান্তর ও উপযুক্ত পরিবহণের সুবিধা হিসাবে ন্যূনতম মজুরি প্রদানেরও দরকার ছিল।
কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষের! সিএসআইআরের বড় বার্তা
ভোজ্য তেলের দাম
ভোজ্য তেলের দামের বিষয়ে, যা ৫০%-এরও বেশি বেড়েছে, পান্ডে জানান যে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ছাড়পত্রের কারণে কান্ডলা ও মুন্ড্রা বন্দরগুলিতে আটকে থাকা আমদানিকৃত মজুত ছাড় পাওয়ার ফলে পরিস্থিতি কিছুটা সহজ হতে সহায়তা করবে।