একেই বলে প্রেম! করোনা আতঙ্কেও বিরিয়ানির জন্য দেড় কিমি লম্বা লাইন বেঙ্গালুরুতে
করোনা ভাইরাস মহামারির জেরে দেশে রেস্তোরাঁ ও স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলি বন্ধ থাকার কারণে খাদ্য রসিকরা তাঁদের প্রিয় খাবার খাওয়ার থেকে এতদিন বঞ্চিত হয়ে ছিলেন। কিন্তু নিউ নর্মাল শুরু হওয়ার পর ফের ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে রেস্তোরাঁ ও স্ট্রিট ফুড। অগত্যা করোনা সতর্কতা মেনে তাঁদের প্রিয় খাবার খেতে হাজির হয়ে যান খাদ্যপ্রিয়রা। সম্প্রতি এক টুইটে দেখা গিয়েছে যে কর্নাটকের রেস্তোরাঁ ও খাওয়ার দোকানগুলি আংশিক খোলার পরই খাদ্য প্রেমিরা সেখানে লম্বা লাইন দিয়েছেন।

বেঙ্গালুরুর হসকোটে জনপ্রিয় বিরিয়ানির দোকান আনন্দ দম বিরিয়ানির ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একশোরও বেশি ক্রেতা বিরিয়ানি কেনার জন্য লাইন দিয়েছেন এবং সেই লাইন এক কিলোমিটারের বেশি দূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে, যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। এই ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন এক ব্যবহারকারী। এক টুইটার ব্যবহারকারী সেখাএ প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, 'আমাকে বলুন এটা কী বিরিয়ানি এবং এটা কি বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে?’ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে অনেক ক্রেতাই মুখে মাস্ক পড়ে নিজের এক প্লেট বিরিয়ানির জন্য অপেক্ষা করছেন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে। অনেকেই এই লাইন দেখে ভেবেছিলেন যে এটা হয়ত মদ কেনার লাইন হতে পারে।
এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে বিরিয়ানির জন্য এত লম্বা লাইন পড়ায়, দোকানের মালিক দেখেন যে আগের চেয়ে তাঁর বিক্রি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি নিজে সংবাদমাধ্যমদের জানিয়েছেন যে রবিবার এই লাইন এত লম্বা হয় যে তা এক থেকে দেড় কিমি পর্যন্ত চলে যায়। কিন্তু সকলকে বিরিয়ানি দেওয়া সম্ভব হয় না। জনপ্রিয় এই বিরিয়ানির দোকান বেঙ্গালুরুর সিটি সেন্টার থেকে ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত। এই দোকানে বিরিয়ানি খেতে হলে আপনাকে এক–দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হবে। নেটিজেন এবং বিরিয়ানি প্রেমিরা খাদ্য রসিকদের এই উন্মাদনাকে বুঝতে পারেন, কেন তাঁরা এতদূর থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে বিরিয়ানি খাচ্ছেন। এক ব্যবহারকারী এই ভিডিওটি দেখে মন্তব্য করেন, 'বিরিয়ানি ছাড়া বেঁচে থাকার চেয়ে বিরিয়ানি খেয়ে মরে যাওয়া ভাল।’