সংঘর্ষের রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিকৃত করা হয় একাধিক ভারতীয় সেনার মরদেহ, ক্ষোভে ফুঁসছে সহ-যোদ্ধারা
ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিবৃত করা হয় একাধিক ভারতীয় সেনার মরদেহ, ক্ষোভে ফুঁসছে সহ-যোদ্ধারা
দিন যত গড়াচ্ছে ততই তীব্র হচ্ছে চিন ভারত উত্তেজনার পারদ। আরও ঘনীভূত হচ্ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা। সোমবার রাতে লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান। চিনের দিক থেকে প্রাণ হারান ৪৩ জনেরও বেশি জওয়ান। এমতাবস্থায় কার্যত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দেশই।
অমানবিক ভাবে বিবৃত করা হয় ভারতীয় সেনাদের দেহ
সূত্রের খবর, ২০ জন মৃত ভারতীয় সেনার মধ্যে বেশ কয়েকজন জওয়ানের দেহ অমানবিকভাবে বিবৃত করেছিল চিনা আর্মি। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে অস্ত্রের সাহায্যে ক্ষতবিক্ষত করা হয় একাধিক সেনার মরদেহ। এছাড়াও ভয়ঙ্কর ভাবে আহত হয়েছেন ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ান। চিনা সেনার এই বর্বরোচিত আচরণের কারণেই বর্তমানে ক্ষোভে ফুঁসছে লাদাখ সীমান্তের ভারতীয় সেনা ইউনিট গুলি।
কাঁটা লাগানো লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে চিনা সেনা
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই লাদাখে ভারত চিনের সেনাদের সংঘর্ষ স্থল থেকে এক অদ্ভুত ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। উদ্ধার হয়েছে প্রায় চার ফুট লম্বা মাথায় কাঁটা লাগানো লোহার রড। এমন অদ্ভুত অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সেনাদের মেরেছিল চিনের সেনারা। বর্তমানে চিনের এই বর্বরোচিত আচরণ সামনে আসছে ফুঁসছে গোটা দেশ।
চিকিৎসা চলছে ৭৬ জন আহত জওয়ানের
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ভারতীয় জওয়ানদের মাথা লক্ষ করে এলোপাথাড়ি লাঠি, রডের আঘাত করতে থাকে পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনারা। তাদের প্রাণে মেরে ফেলার জন্যই যে এমন হামলা করা হয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। এদিকে ওই দিন আহত সেনাদের মধ্যে ২০ জন লে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বাকি ৫৬ জনের চিকিৎসা চলছে অন্যান্য হাসপাতালে।
সংঘর্ষের পিছনে একে অপরকে দোষারোপ করছে ভারত-চিন
এদিকে গত ৫ই ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দানা বাঁধছিল। গালওয়ান উপত্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বেশ কয়েকবার তাদের হাতাহাতিতে জড়াতেও দেখা যায়। সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমিত ৬ জুন দুই দেশের সামরিক প্রধানেরা বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকের শান্তি চুক্তি মেনে গালওয়ান থেকে সেনা সরাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু অভিযোগ, তখনই অতর্কিতে ভারতীয় সেনার উপর আক্রমণ চালায় ড্রাগন ফৌজ। যদিও বেজিংয়ের পাল্টা দাবি ভারতীয় সেনারাই প্রথম পিএলএ-র সেনাদের উস্কানি দেয়।
উত্তেজনা প্রশমিত করতে দু-দফায় চলে সেনা কর্তাদের বৈঠক
এদিকে এই ঘটনার পর বুধবার মেজর জেনারেল স্তরে বৈঠকে বসে ভারত-চিন। কিন্তু সেদিনও কোনও রফা সূত্র না মেলায় ফের বৃহস্পতিবার বৈঠক হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এদিকে এর আগে চিনের একাধিক সেনা ও প্রশাসনিক কর্তারা গালওয়ান উপত্যকাকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। কিন্তু এই বৈঠকে ভারতের তরফ থেকে আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে চিন যে দাবি করছে তা পুরোপুরি ভাবে ‘ভ্রান্ত' এবং ‘অসমর্থনযোগ্য'।
চিনের দাদাগিরি রুখতে আকাশে চক্কর বায়ুসেনা বিমানের! লাদাখে লালফৌজকে রুখতে কড়া পদক্ষেপ ভারতের