গুরু নানকের জন্মদিনে বদলে গেল আন্দোলনের চিত্র! পুলিশকে প্রসাদ খাওয়ালেন কৃষকেরা
গত কয়েকদিন ধরে বারংবার লাঠি আর জলকামান উুঁচিয়ে তেড়ে এসেছিল যে পুলিশ সেই পুলিশের মুখেই প্রসাদ তুলে দিলেন আন্দোলনরত কৃষরা। উপলক্ষ গুরু নানকের জন্মদিন। আর তার রেশ ধরেই পাঁচ দিনের আন্দোলনের মাথায় অন্য চেহারা দেখা দিল দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে।অবস্থান মঞ্চ থেকেই কীর্তন গাইলেন পাঞ্জাব, হরিয়ানার শিখ সম্প্রদায়ের কৃষকরা৷ সোমবার দিনভর গুরু নানকের ৫৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুজো করলেন কৃষকরা, চলল প্রার্থনাও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষি আইন চালুর পরেই তা বাতিলের দাবিতে দেশজোড়া আন্দোলনে নামে কৃষক সমাজের একটা বড় অংশ। কিন্তু তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যায় এই পাঞ্জাব-হরিয়ানার শিখ সম্প্রদায়ের কৃষকদেরই।

এদিকে ইতিমধ্যেই স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী শর্থসাপেক্ষে আলোচনায় বসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা। কৃষকরা দিল্লির যন্তর মন্তর অথবা রামলীলা ময়দানে বিক্ষোভের অনুমতি চাইলে সরকার তাদের দিল্লির উপকণ্ঠে বুরারিতে জমায়েতের কথা বলেছে। আর এর জেরেই আরও চটেছে আন্দোলনরত কৃষকরা। বেড়েছে বিক্ষোভের ঝাঁঝও।বর্তমানে কৃষিকদের দাবি মেনে নয়া কৃষি আইন বাতিল ও কমপক্ষে ২৬টি ফসলে নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিষ্চিত না করলে দিল্লি অচল করে দেওয়ারও ডাক দিয়েছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই সোনেপত, রোহতক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর এবং মথুরার মতো পাঁচটি জায়গায় জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়ারও হুঙ্কার দিয়েছেন আন্দোলন রত কৃষকরা। বড় মাত্রায় জমায়েতও দেখা গিয়েছে প্রতিটি জায়গায়।

অন্যদিকে দিল্লিগামী কৃষকদের পথে কাঁটা ছড়াতে গত কয়েদিন ধরেই একাধিকবার ব্যারিকেড, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান উুঁচিয়ে এগিয়ে এসেছে হরিয়ানা পুলিশ। কিন্তু তাতেও একফোঁটা দমেনি আন্দোলনের তীব্রতা। এমতস্থায় পরিস্থিতি সামল দিতে গতকালই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার বাড়িতে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। এদিকে আগামী ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সাথে সরকার ও অন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে। এবার তার আগেই গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সোমবার অন্য মেজাজ দেখা গেল গোটা আন্দোলন স্থলেই।