রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও বিরোধী চাপ! নোটবাতিল নিয়ে আগের যুক্তি 'পরিবর্তন' মোদী সরকারের
দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে নোটবাতিলের পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। অর্থনীতিকে ফর্মালাইজ করতে যেসব সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তার মধ্যে নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত অন্যতম বলে জানিয়েছেন
দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে নোটবাতিলের পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। অর্থনীতিকে ফর্মালাইজ করতে যেসব সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তার মধ্যে নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত অন্যতম বলে জানিয়েছেন জেটলি। অন্যদিকে, বিরোধীরা এবিষয়ে নিশানা করেছে সরকারকে। এমন কী মোদীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেছে তারা।
নোট বাতিলের জেরে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা করেছে। দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে, সমালোচনা করতে গিয়ে বলা হচ্ছে, নগদের সবটাই ব্যাঙ্কে জমা পড়েছিল। যদিও বর্তমানে জেটলির দাবি, নোটবাতিল করে জালিয়াতি বন্ধ করা উদ্দেশ্য ছিল না। বৃহৎভাবে বর্ণনা করতে গেলে, অর্থনীতিকে আনুষ্ঠানিক( ফর্মালাইজ) করতে এবং কর প্রদানে বাধ্য করতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তবে নোট বাতিল ঘোষণার পরে সরকারের থেকে যেসব যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে জালিয়াতি বন্ধও উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়েছিল।
এছাড়াও দেশকে নগদ থেকে ডিজিটাল লেনদেনে নিয়ে যেতে, একটা ঝাঁকুনির প্রয়োজন ছিল বলে ফেসবুক ব্লগে মন্তব্য করেছেন অরুণ জেটলি।
এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছিল দেশের বাতিল হওয়া ৯৯.৩ শতাংশ টাকা ফেরত এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই মন্তব্যের পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
জেটলি বলেছেন, নোটবাতিল মানুষকে বাধ্য করেছে ক্যাশ ব্যাঙ্কে জমা করতে। বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়ায় ব্যাঙ্কগুলির ধার দেওয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যাঁরা আইনভঙ্গ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অরুণ জেটলি দাবি করেছেন, হঠাৎ নোটবাতিলের সিদ্ধান্তে কর সংগ্রহ বাড়িয়েছে অনেকটাই। সেই বাড়তি টাকা সরকার পরিকাঠামো তৈরি, সামাজিক ক্ষেত্র এবং গ্রামে ব্যয় করেছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৪-র মে-তে যখন সরকার ক্ষময়তায় আসে তখন দেশে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেন ৩.৮ কোটি মানুষ। পরবর্তী চার বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬.৮৬ কোটি।
জেটলির দাবি, নোট বাতিলের সঙ্গে জিএসটি নগদ লেনদেন কমিয়েছে। ডিজিটাল লেনদেন এখন চোখে দেখার মতো। জিএসটির আগে যেখানে করদাতার সংখ্যা ছিল ৬৪ লক্ষ, জিএসটি পরবর্তী সময়ে তা দাঁড়িয়েছে এককোটি কুড়ি লক্ষে।