সন্ত্রাস হামলা বন্ধ হওয়া উচিত : শরিফকে কড়া সুরে বললেন মোদী
ভারতের পনেরো তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মঙ্গলবার সকালে পিএমও-তে পা রাখেন নরেন্দ্র দামোদর মোদী। সোমবার মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার যে আট নেতা উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম দিনেই তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যদিও এদিনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের নয়া প্রধানমন্তরী নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি বৈঠক। বাকিদের সঙ্গে যেখানে আধ ঘন্টা ২০ মিনিটের বৈঠক, সেখানে শরিফের সঙ্গে প্রায় ৫০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন মোদী। এর ফলেই বোঝা যায়, দুই দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক সূচনা হয়ে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও জানিয়েছেন যে, দুই দেশের বিদেশ সচিবই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। এবং দুই দেশের বাণিজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে দুই তরফেই। এমনকী অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পটভূমিও যেন মসৃণ হয়, যেমন অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের রয়েছে, সে নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়।
আজ সকাল ১২টা ১০ মিনিটে হায়দ্রাবাদ হাউজে বৈঠকে বসেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ২০০৮-এ মুম্বইয়ে জঙ্গী হানার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছিল তা নিয়েই এদিন বৈঠকে বসেন দুই প্রধানমন্ত্রী, সীমান্তে ভারতের উপর পাকিস্তানের বারংবার আক্রমণ সেই আগুনেই হাওয়া দিয়েছিল। এই বৈঠক মূল বরফ গলার বৈঠক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এক ধাপ পা বাড়িয়েছিল ভারত। ভারতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এক ধাপ এগিয়েছে পাকিস্তানও। এখন দেখার বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী পারবেন কিনা দুই দেশের এই দূরত্ব কম করতে।
ভারতের মাটিতে পা রেখেই শরিফ জানিয়েছিলেন পাকিস্তান থেকে শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছেন তিনি। সোমবার অনুষ্ঠান শেষে, শরিফ বলেন, আমাদের ভয়, অবিশ্বাস এবং আশঙ্কা ছুঁড়ে ফেলতে হবে। কয়েক দশক ধরে উভয় দেশে যে অস্থিরতা রয়েছে নিরাপত্তার ভয় রয়েছে তার থেকে দুই দেশেরই পরিত্রাণ পাওয়া উচিত।
সোমবার শরিফ বলেন, অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমল থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের ছেঁড়া সুতো জোড়া লাগাতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু তা হয়নি। আজ অটল বিহারি বাজপেয়ীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন শরিফ। তবে এবিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত খবর পাওয়া যায়নি।
হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে বসার আগে নওয়াজ শরিফ লালকেল্লা, চাঁদনি চক এবং জামা মসজিদে যান শরিফ।