বিজেপির মতো করে ভেবে দলের হৃত জমি পুনরুদ্ধারের ডাক খোদ কংগ্রেস হেভিওয়েটের ! তোলপাড় দিল্লির রাজনীতি
সিএএ নিয়ে দিল্লির শাহিনবাগ তখন চরম উত্তপ্ত। দিকে দিকে তখন মোদী বিরোধিতার সুরে মত্ত দিল্লির সিএএ প্রতিবাদীরা। তাঁদেরই মাঝে এক ছোট্ট ফুটফুটে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে মোদী সরকারের বিরোধিতায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসের হেভিওয়েট সলমন খুরশিদকে। যে সলমন খুরশিদের মুখে বিজেপির সমালোচনা বহুবার উঠে এসেছে। এবার ২০২১ সালে দেশের ৪ রাজ্য ও পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলের পরিস্থিতির উন্নয়নে সেই সলমান খুরশিদের বক্তব্য রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বাংলায় কংগ্রেসের হাত খালি , কী বলছেন সলমান
প্রসঙ্গত, বাংলায় ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে শূন্যতে গিয়ে ঠেকেছে কংগ্রেস। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের তরফে কীভাবে হৃত জমি পুনরুদ্ধার করা যায়, তার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জন্য আলোচনা করেন সোনিয়া গান্ধী। এরপর সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সলমান খুরশিদ বলেন, কংগ্রেস দুর্বল, কংগ্রস খুবই ছোট দল হয়ে গিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আর তারা মাথা তুলতে পারবেন না এমন ভাবনা তিনি অন্তত বিশ্বাস করতে চান না।
বাংলায় কংগ্রেসের পরিস্থিতি ও সলমান খুরশিদ
সলমান খুরশিদ বলেন, অসম, পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল তেকে একটি জিনিস তিনি তুলে ধরছেন যে, কংগ্রেস কিছুতেই দুর্বল দল হতে পারে না। শতাব্দী প্রাচীন এই দল কখনওই ছোট দল নয়। আর একটা নির্দিষ্ট রাজ্যে কংগ্রেস জিততে পারবে না, এটা হতে পারে না। এমনই দাবি করেছেন সলমান খুরশিদ। কংগ্রেস নেতার বার্তা কংগ্রেসকে নিয়ে তিনি কোনও মতেই নেতিবাচক ভাবনা ভাবত পারবেন না।
বিজেপির স্ট্র্যাটেজি ও সলমন খুরশিদ
কংগ্রেসের হেভিওয়েটের দাবি, যে সমস্ত রাজ্যে এককালে বিজেপির কোনও দাপট ছিল না, সেখানে বিজেপি ইতিবাচক ভবানা ধরে এগিয়েছে। যে ইতিবাচক ভাবনার বার্তা কংগ্রেসের জন্য দিচ্ছেন সলমান। তাঁর মতে , যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপির এখনও দখল নেই, সেখানেও বিজেপি একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের হেভিওয়েটের দাবি, একাগ্রতা থাকলে বিজেপির এই ভাবনার মতো করে কংগ্রেসও এগিয়ে যেতে পারবে।
ট্যাক্টিক্যাল ভোটিং ও কংগ্রেস
কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতার দাবি, এক ভোট বিশ্লেষকের মতে বাংলায় ট্যাক্টিক্যাল ভোটিং হয়েছে। যা অসমে হয়নি। ফলে এইগুলিকে ধরে নিয়েই চলতে হবে বলে জানিয়েছেন খুরশিদ।
২০২২ বিধানসভা ভোট ও কংগ্রেস
প্রসঙ্গত, সামনেই ২০২২ বিধানসভা ভোট উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে। সেদিক তাকিয়ে কংগ্রেসের এই হেভিওয়েটের বার্তা দল সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হয়ে , বিশ্লেষণ করতে হবে। মানুষ কী চায় ,তা জানতে হবে বিশদে। মানুষের সঙ্গে থেকে ইস্তেহার সামনে আনতে হবে।