PK- এর সঙ্গে বৈঠকের পরেই বড় পদক্ষেপ! ‘এক পরিবার, এক টিকিট’ নীতিতে সহমত নেতৃত্বের
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে ছন্নছাড়া দলকে এক জায়গাতে নিয়ে আসাটাই বড় চ্যালেঞ্জ সোনিয়া গান্ধীর কাছে। শুধু তাই নয়, রয়েছে একাধিক একাধিক চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় রাজস্থানে'র উদয়পুর তিনদিনের চিন্তিন শিবির শুরু ক
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে ছন্নছাড়া দলকে এক জায়গাতে নিয়ে আসাটাই বড় চ্যালেঞ্জ সোনিয়া গান্ধীর কাছে। শুধু তাই নয়, রয়েছে একাধিক একাধিক চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় রাজস্থানে'র উদয়পুর তিনদিনের চিন্তিন শিবির শুরু কংগ্রেসের।
এই শিবিরে অংশ নিতে ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা। আর এই বৈঠকের আগেই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনের দাবি, এই বৈঠকের মধ্যেই একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, 'এক পরিবার এক টিকিট' ইস্যুতেও নেতৃত্ব সহমত বলেও জানিয়েছেন বর্শীয়ান কংগ্রেস নেতা।
দলের সমস্ত প্রথম সারির নেতারাই এই বিষয়ে একমত
মাকেন বলেন, গোটা দেশেই দলের সংগঠনকে মজবুত করতেও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে 'এক পরিবার এক টিকিট' ইস্যুতে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, কার্যত দলের সমস্ত প্রথম সারির নেতারাই এই বিষয়ে একমত। যেখানে দলের কোনও নেতার পরিবার কিংবা আত্মীয়কে একটি টিকিটের বাইরে অতিরিক্ত টিকিট আর দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে লড়াই করতে হলে কিংবা টিকিট পেতে হলে দলের সঙ্গে নুন্যতম পাঁচ বছর পর্যন্ত কাজ করতে হবে।
একাধিক বদলের সিদ্ধান্ত
এমনকি কোনও ব্যক্তি দীর্ঘদিন যদি দীর্ঘদিন কোনও একটি দলের পদ আগলে ধরে বসে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়া হবে। নুন্যতম তিন বছর পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে দলের অন্য কোনও বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। আর এরপরেই ওই ব্যক্তিকে ফের ওই পদে ফেরানো হবে। এমনই একাধিক সংস্কারি সিদ্ধান্ত এই চৈন্তন বৈঠকের মাধ্যমে নেওয়া হবে বলে খবর। ফলে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহল।
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সোনিয়া গান্ধী
হাতে আর মাত্র দুই বছর। ইতিমধ্যে ভোট কৌসুলি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সোনিয়া গান্ধী। শোনা যায়, কংগ্রেস নেতৃত্বকে আগামী লোকসভার রোড ম্যাপ দিয়ে এসেছেন। আর এরপরেই এই বৈঠক। জানা যাচ্ছে, চিন্তন শিবিরে দলের নেতারা আগামী ২৪ এর নির্বাচনে রণনীতি নিয়েও আলোচনা করবেন। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই সে বিষয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা। এছাড়াও রাজনীতিক, সংগঠন, অর্থ ব্যবস্থা, সামাধিক সহ মোট ছয়টি বিষয়ের উপর আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা।
সবার নজর বৈঠকের দিকে?
আজ শুক্রবার থেকেই এই বৈঠক শুরু হচ্ছে। যেখানে সোনিয়া গান্ধীর ভাষণে শুরু হবে বৈঠক। তিনদিনের এই বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন রাহুল গান্ধীও। ফলে এই বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিকেই নজর সবার।