পাকিস্তান জানত 'তাদের ফয়োরার্ড ব্রিগেড গুঁড়িয়ে' দিতে পারে ভারতীয় সেনা! কোন ইস্যুতে ধানোয়ার বার্তা
অভিনন্দন বর্তমানকে পাকিস্তান প্রবল চাপের মুখে পড়ে ছাড়তে বাধ্য হয় বলে এদিন জানান বিএস ধানোয়া। এই চাপ যেমন কূটনৈতিক ছিল, তেমনই রাজনৈতিক চাপও ছিল পাকিস্তানের ওপর। তবে সর্বপরি ভারতের সেনাকে দেখে থরহরি কম্প শুরু হয় পাকিস্তানের। এমনই বার্তা এদিন দেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধাব বিএস ধানোয়া।

পাকিস্তান জানত
এদিন বিএস ধানোয়া বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের আকাশে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের ঢুকে পড়া ও তাকে ধাওয়া করতে গিয়ে পাকিস্তানের হাতে অভিনন্দন বর্তমানের পাকড়াও হওয়ার ঘটনা সেই সময় একটি সিদ্ধান্তের মুখে ভারতকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তবে ওপারে পাকিস্তান স্বস্তিতে ছিলনা। কারণ তারা ভালোই বুঝে গিয়েছিল যেকোনও মুহূর্তে পাকিস্তানের ফরোয়ার্ড ব্রিগেডকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে ভারত।

'আমাদের কাছে প্ল্যান বি ছিল'
এদিন এক টিভি সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া বলেন, সেই সময় রাজনৈতিক নেতৃত্ব যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে, সেভাবেই এগিয়ে যায় অভিনন্দনকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। এদিকে, সেনার তরফে রাতারাতি একটি প্ল্যান বিও তৈরি করে ফেলা হয় পাকিস্তানকে রুখতে।

'সেনা একা পদক্ষেপ নিতে পারে না'
এদিন বিএস ধনোয়া স্পষ্ট করেন যে সরকার ছাড়া ভারতের সেনা একা কখনওই পদক্ষেপ নেয়নি। আর অভিনন্দন বর্তমানকে ছাড়িয়ে আনার সময়ও তা হয়।প্রসঙ্গত, জানা যায়, বালাকোট হামলার সময় গোটা ঘটনা দিল্লির কন্ট্রোল রুম থেকে দেখেছেন নরেন্দ্র মোদী। তেমনই অভিনন্দনের ক্ষেত্রে যাবতীয় কূটনৈতি ও রাজনৈতিক গতিবিধির সমস্ত খবর তিনি কন্ট্রোল রুম থেকে পর্যালোচনা করেছেন বলে খবর।

রাফালে শত্র ধ্বংসের সেরা অস্ত্র!
এদিনের টিভি সাক্ষাৎকারে দশের বর্তমান প্রতিরক্ষা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বলেন, রাফালে যুদ্ধবিমান অত্যন্ত উপযোগী শত্রু নিধনে। তিনি বলেন, যদি দেশের আকাশে শত্রু শিবিরের যুদ্ধবিমাব ঢুকেও পড়ে, রাফালে তার যথাযোগ্য সংহার করতে পারবে। ফলে এই যুদ্ধবিমানের হাত ধরে এখন ভারতের বায়ুসেনা আরও বেশি শক্তিধর বলে তিনি জানান।

অভিনন্দনকে বাঁচাতে রাজনৈতিক ঝুঁকি নিতেও পিছপা হয়নি মোদী সরকার! কতটা কঠিন ছিল 'সিন্ধান্ত নেওয়া'