৫১০ দিনে ৩ কোটি করোনা আক্রান্ত ভারতে, ঘটনা পরম্পরা একনজরে
২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথমবার করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে। ততক্ষণে বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়েছে করোনা। এরপর ২০২১ সালের ২৩ জুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানিয়েছে দেশ সর্বমোট ৩ কোটি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছে। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পার করেছে ভারতের সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ৫১০ দিনে ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত ৩ কোটি। যেখানে আমেরিকা ৪৩০ দিনে ৩ কোটির গণ্ডি পার করেছে।
ভারতে কী পরিস্থিতি?
বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় স্রোত কমতির দিকে যেতে শুরু করেছে। এদিকে , পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে ৫০ লাখ আক্রান্তের সংখ্যাই শুধুমাত্র ৩৬ দিনে হয়েছে। একটা সময় মে মাসে ৪ লাখের অঙ্ক পেরিয়ে গিয়েছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া। সেখান থেকে ৫০ হাজারের আশপাশে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা নেমেছে। গত এক সপ্তাহে রেকর্ড পতন দেখা গিয়েছে দেশের করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখলে দেখা যাবে, ১৭ মে করোনার জেরে দেশে ২.৫ কোটি করোনা আক্রান্তের মাইলস্টোন দেখা গিয়েছে। তারপর ২২ জুন তা ৩ কোটির অঙ্ক পার করেছে। মে মাসের ১৮ তারিখ নাগাদ সর্বমোট অ্যাক্টিভ কেস লোড ছিল ১৩.২৯ শতাংশ। সুস্থতার সংখ্যা কমে যায় ৮৫.৬ শতংশ।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১.৫ কোটি থেকে ২ কোটি যখন পৌঁছয়
এছাড়াও পরিসংখ্য়ান বলছে,মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দেশ১.৫ কোটি করোনা আক্রান্ত থেকে সর্বমোট ২ কোটি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর আগে ১২১ দিনে দেশ ১ কোটির গণ্ডি পেরিয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ব্যাপক দ্রুততার সঙ্গে এই গণ্ডি পেরিয়েছে দেশ। এদিকে এই সময়কালে করোনার জেরে মৃতের সংখ্যায় কমতি দেখা গিয়েছে।
১ কোটি আক্রান্তের সময়
ডিসেম্বর মাসে ১ কোটির গণ্ডি পার করে ভারত। ১৮ ডিসেম্বর ভারতে ১ কোটি করোনা ভাইরাস কেস দেখা যায় ২০২০ সালে। সেই সময় দেশে করোনার প্রথম স্রোতের নিম্মমুখী ট্রেন্ড ছিল। সেই সময় সাত দিনের গড়ের হিসাবে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার কমতিও দেখা যায়।
৫০ লাখ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
ভারতে যখন প্রথম ৫০ লাখ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছয় তখন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস। সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখের গণ্ডি পার হয়। সেই সময় অ্যাক্টিভ কেস লোডের শতাংশ ১৯.৮ শতাংশ ছিল। সেই সময় দেখা গিয়েছিল ২৫ থেকে ৫০ লাখ হতে ভারতে ৩২ দিন সময় নিয়েছে করোনা স্রোত। যখন দৈনিক আক্রান্ত ৭০ হাজারের আশপাশে ছিল। মৃতের সংখ্যা তখন অনেকটাই কম।