দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪১৫, সর্বাধিক সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে
দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪১৫, সর্বাধিক সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে
ভারতে বাড়ে শুরু করেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৪১৫। বড়দিনের উৎসবের মাঝে সেই সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সর্বাধিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। গত ২টি ওয়েভের সময়ও মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ সর্বাধিক আকার নিয়েছিল।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের গ্রাফও উর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৭,১৮৯ জন। গতকালের চেয়ে অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩৮৭ জন। যদিও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে এখনও কারোর মৃত্যু হয়নি দেশে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,২৮৬ জন।
ওমিক্রন সংক্রমণেও দেশে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন। তারপরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৯। তার পরেই রয়েছে গুজরাত। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হয়ে গিয়েছে। আর তেলঙ্গানায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮। পিছিয়ে নেই কেরলও সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। তামিলনাড়ুতে ৩৭ এবং পশ্চিমবঙ্গে ৬ জন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।
হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবার যেখানে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫৯ সেটা হঠাৎ করে বেড়ে ৪১৫ হয়ে গিয়েছে। তার আগের দিন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৩। কাজেই দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে দেশে। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য ক্রিসমাস এবং বর্ষবরণের উৎসবে রাশ টেনেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওমিক্রন আক্রান্তদের ৯০ শতাংশই করোনা ভাইরােসর দুটি টিকাই নিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে আবার ৩ জন বুস্টার ডোজও নিয়েছিলেন। ওমিক্রন আক্রান্ত ৭০ শতাংশের কোনও উপসর্গ নেই।
মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই নাইট কার্ফু কড়া করেছে। রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু বহাল করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। দিল্লি, হরিয়ানাতেও করোনা বিধি কড়া করা হয়েছে। দিল্লিতে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যদিও চার্চের উপাসনার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিধেষ বহাল করা হয়নি। মন্দিরের দরজাও সর্ব সাধারণের উদ্দেশ্যে খোলা রাখা হয়েছে। তবে বর্ষবরণের উৎসবে রাশ ানা হয়েছে।