Breaking News: ওমিক্রন সংক্রমণের হদিশ মিলল বাংলাতেও, আক্রান্ত শিশুর বাড়ি মুর্শিদাবাদে
একের পর এক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ছিল বাংলাতে। কিন্তু তা আর বেশিদিন থাকল না। বাংলাতেও এবার ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ। সাত বছরের এক শিশুর শরীরে মিলল করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট। আর এই তথ্য সামনে আসার পরেই ওই নাবালককে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।


শুধু তাই নয়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও আলাদা রাখা হয়েছে। তাঁদের শরীরেও ওমিক্রনের নমুনা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রের খবর, ওমিক্রন আক্রান্ত ওই শিশুটিকে কলকাতায় নিয়ে আসার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ হাসপাতালেও চিকিৎসা করা হতে পারে বলে খবর। পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এমনটাই খবর স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিনে ওই শিশুটি কাদের সঙ্গে মিশেছে সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে।
তৈরি করা হচ্ছে তালিকা। সবারই শারীরিক পরীক্ষা করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। সাস্থ্য দফতরের তরফে সে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রের খবর, সম্প্রতি ওই শিশুটির পরিবার আবু ধাবি থেকে হায়দরাবাদে আসে। সেখানেই তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। আর সেখান থেকে বিশেষ বিমান ধরে কলকাতায় আসে শিশুটির পরিবার। আর কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ পৌঁছয় তাঁরা। জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর আবু ধাবি থেকে হায়দরাবাদ বিমান বন্দরে পৌঁছয় শিশুটি এবং তাঁর পরিবার।
এরপর সেখানে কয়েকদিন কাটায়। এরপর কলকাতার বিমান ধরে এখানে আসে। এমনটাই স্বাস্থ্য দফতর সুত্রের খবর। আর তা আসে ১৪ ডিসেম্বর। এরপর সড়কপথেই মুর্শিদাবাদে পৌঁছে যায় তাঁরা। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে বিমানে কলকাতায় আসার পরে কেন টেস্টে ধরা পড়ল না? তবে হায়দরাবাদে বিমানবন্দরে নামার পর ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হয়।
তাতে বাবা-মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, যদিও শিশুর নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই ওই নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়। তেলেঙ্গানা সরকার ওই রিপোর্টে জানতে পারে শিশুটি ওমিক্রনে আক্রান্ত। আর ততক্ষণে ওই পরিবার পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে। আর তা সে রাজ্য জানার পরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সতর্ক করা হয়।
উল্লেখ্য, জানা যাচ্ছে ফারাক্কাতে ওই শিশুটির পরিবারের বাড়ি। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।