ভারতে প্রভাব বিস্তার করছে ওমিক্রন, সতর্কবার্তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
ভারতে প্রভাব বিস্তার করছে ওমিক্রন, সতর্কবার্তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
দেশে ক্রমশ্য উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। করোনার এই নয়া প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে ছাড়িয়েছে ১৫০। সেই সঙ্গে লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। আর যা নিয়ে রীতিমত চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার আগের প্রজাতিগুলির থেকে সংক্রমণ সময়ের ভিত্তিতে বেশ এগিয়ে এই নয়া ভেরিয়েন্ট, এই তথ্য আগেই প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর ভারতে মাত্র তিন দিনের মধ্যে আক্রান্ত সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। যার ফলে চিন্তার ভাঁজ বিশেসজ্ঞদের কপালে।
ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত
ভারতে ইতিমধ্যেই ১৫০ পেরিয়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি লাগাতার খবর আসছে এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হওয়ার। সোমবারেই ১৫৮ জন অমক্রন আক্রান্ত হওয়ার কথা সামনে আসে। সেক্ষেত্রে সবার আগে তালিকায় নাম আছে মহারাষ্ট্রের। আক্রান্ত সবাই বেদেশ ফেরত বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে ইতিমধ্যে ৭৭ জন ওমিক্রন থেকে রেহাই পেয়েছেন বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কোথায় কত ওমিক্রন আক্রান্ত?
আগের মতই করোনার এই নতুন প্রজাতি ওমিক্রন আক্রান্তের দিক থেকেও উপরের সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। উভয় রাজ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ৫৪টি কেস সামনে এসছে। পাশাপাশ তেলঙ্গানা ২০ জন, কর্ণাটকে ১৯ জন, রাজস্থানে ১৮ জন, কেরালায় ১৫ জন এবং গুজরাটে ১৪ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশের ১২ টি রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের খবর সামনে এসেছে।
আশার আলো দেখাচ্ছে করোনা গ্রাফ
তবে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে করোনা গ্রাফ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৯৭ জন। প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার ৬০ জন। এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭ জনের। স্বস্তি ফিরিয়ে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৪০ শতাংশ। যা ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ
ওমিক্রন নিয়ে সতর্কবার্তা
করোনার এই নয়া প্রজাতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রন ঠেকাতে সচেতনতা এবং টিকাকরণই প্রধান রাস্তা হিসেবে উল্লেখ করেছে 'হু'। এরই পাশাপাশি ভারতে যাতে এই নয়া প্রজাতির করোনা খুব বেশি সংক্রমিত না হতে পারে তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলছে বিশেষ মনিটরিং। সার্বিক টিকাকরণের উপরও দেওয়া হচ্ছে জোর।