ডেল্টা থেকে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ৯১ শতাংশ কম, জানাল CDC
ওমিক্রন কম ঝুঁকিপূর্ণ জানালেন বিশেষজ্ঞরা
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন কোভিডের অন্যান্য প্রজাতির থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ, বলে জানিয়েছেন ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)। এজেন্সির রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে আক্রান্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে ডেল্টার থেকে ওমিক্রন কম ঝুঁকিপূর্ণ।
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ওমিক্রন আক্রান্ত লোকেদের ভর্তির ৭৫ শতাংশের দরকার সঠিক পরিচর্যার। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্ত লোকেদের ৯১ শতাংশের মৃত্যুর হার অনেক কম।
যদিও নানান গবেষণা থেকে বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করোনার আগের প্রজাতির থেকে নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বেশি মারাত্মক ও ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে, নয়া ভ্যারিয়েন্টে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে কিছু মৃত্যুর সংখ্যা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, গড়ে প্রতিদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫০,৫১৫ নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ভাইরাসের জন্য মৃত্যু ঘটেছে ১৭১৬ জনের। যদিও আগের সপ্তাহের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুর হারও।
CDC -র প্রধান রোচেল ওয়ালেনস্কি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুতে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ওমিক্রন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ডেটা অনুসারে জানা গিয়েছে, করোনার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় কেসগুলির ৯৮ শতাংশই নয়া ভেরিয়েন্টের জন্য দায়ী। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিল। যদিও নয়া প্রজাতি ওমিক্রন খুব শিগ্রই ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এই প্রজাতিতে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা আর কিছুদিনের মধ্যেই গতি হারাবে। ফলে তারা আশাবাদী যে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণের হার আগের থেকে অনেকটাই কমে যাবে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ২০২ জন। কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৫৩। যদিও চিন্তার ভাঁজ ফেলছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মহারাষ্ট্রের করোনা গ্রাফ।