৪০০০ ছাড়িয়ে গেল দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ১৩.২৯ শতাংশ
৪০০০ ছাড়িয়ে গেল দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ১৩.২৯ শতাংশ
ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ৪০০০ ছাড়িয়ে গেল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। ৪০৩৩ জন ওমিক্রন ভ্যািরয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন দেশে। তারমধ্যে সর্বাধিক করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ১২১৬ জন। ওমিক্রন সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৯ জন। তারপরেই রয়েছে দিল্লি। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৩ জন। কিন্তু তারপরেই তিন রাজ্য লকডাউনের পথে হাঁটতে নারাজ।
করোনা সংক্রমণ লাগাম ছাড়িয়েছে গোটা দেশে। তৃতীয় ওয়েভের পিক ছুঁতে শুরু করে দিয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১.৮ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে কোনটা ডেল্টা এবং কোনটা ওমিক্রন তার সন্ধান চলছে। তবে ডেল্টার চেয়ে বেশি ওমিক্রনই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ করোনা উপসর্গ তেমন থাকছে না রোগীদের। সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরেই আটকে থাকছে সংক্রমণ। সেকারণে হোম আইসোলেশনের সময়সীমা কমিয়ে ৭ করে দেওয়া হয়েছে। আগে ১৪ দিন রাখা হয়েছিল হোম আইসোলেশনের সময়সীমা। কিন্তু এখন ৫ দিনের পর আর ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা থাকছে না। সেকারণেই হোম আইসোলেশনের সময়সীমা কমিয়ে ৭ করে দেওয়া হয়েছে।
ওমিক্রন সংক্রমণে এখনও দেশে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম জন মহারাষ্ট্রে এবং দুইজন রাজস্থানে মারা গিয়েছে। ওমিক্রন আক্রন্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতাও কম থাকছে। করোনা সংক্রমণের হার বাড়লেও তা মারাত্মক না হওয়ায় কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি লকডাউনের পথে হাঁটতে চাইছে না। জোরদার করা হয়েছে করোনা বিধি। বিশেষ করে নাইট কার্ফু এবং সপ্তাহান্তে কার্ফুর সময় বাড়ানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন সংক্রমণ সর্বাধিক। পুলিশ কর্মী এবং চিকিৎসকদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে একাধিক পুলিশকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রাজ্যগুলিকে হোম আইসোলেশন এবং করোনা পরীক্ষার উপর জোর দিতে বলেছেন।
সাধারণ ঠান্ডা লাগার থেকে ওমিক্রনকে আলাদা করবে এই দুটি উপসর্গ
এদিকে আজ থেকেই গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজের টিকাকরণ। চিকিৎসক, পুলিশকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে এই বুস্টারডোজ পাবেন। সেই সঙ্গে ষাটোর্ধ্বোরাও করোনা িটকার বুস্টার ডোজ পাবেন বলে জানানো হয়েছে। প্রধাবমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ২৫ ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন বুস্টারডোজ দেওয়ার কথা। সেই সূচি মেনেই আজ থেকে শুরু হয়ে গেল বুস্টার ডোজের করোনা টিকাকরণ।