একধাক্কায় দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৫৩! স্বস্তি দিচ্ছে করোনায় সুস্থতার হার
প্রথমে সংখ্যাটা ১-২ করে বাড়তে থাকলেও এবার কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছেন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়তে বাড়তে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পেরিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্র
প্রথমে সংখ্যাটা ১-২ করে বাড়তে থাকলেও এবার কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছেন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়তে বাড়তে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পেরিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৬০০।
এখনও পর্যন্ত মোট ৬৫৩ জনের শরীরে মিলেছে ওমিক্রন। এর মধ্যে বেশির ভাগ আক্রান্তই দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৭ জন ও দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৫। দেশে এ পর্যন্ত ১৮৬ জন ওমিক্রন আক্রান্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন।
অধিক সংক্রামণে সক্ষম ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। নতুন করে বিধি-নিষেধ চালু হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। সোমবার থেকে নাইট কার্ফু জারি হয়েছে দিল্লিতে। গতকাল, সোমবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩৩১ জন। এরপরই নাইট কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৯ জুনের পর থেকে দিল্লিতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এটাই সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে বেড়েছে রাজধানীর পজিটিভিটি রেট। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী, দিল্লিতে পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ০.৬৮ শতাংশ।
তবে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও খারাপ। রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ৫ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জিমে ৫০ শতাংশ সদস্যকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিনেমা হল, হোটেল, স্পা-তেও ৫০ শতাংশের বেশি লোককে অনুমোদন দেওয়া হবে না। ক্রিসমাস বা বর্ষবরণের উৎসবে যাতে জমায়েত না হয়, সে দিকেও নজর দিচ্ছে প্রশাসন।
অন্যদিকে ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৫৮ জন। গত ৪৮ ঘন্টার থেকে এই সংক্রমণের হার 2.6 শতাংশ কম। যা যথেষ্ট স্বস্তির বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৪,৭৯৯,৬৯১।
অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও এই মুহূর্তে দেশে স্বস্তিদায়ক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ রোগির সংখ্যা ৭৫ হাজার ৪৫৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে সারিয়ে উঠেছেন ৬৪৫০ জন। ফলে এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা যোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে হল- ৩,৪২,৪৩,৯৪৫।
বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রিকোভারি রেট এই মুহূর্তে 98.40 শতাংশ। যা কিনা ২০২০ মার্চের পর থেকে সবথেকে বেশি। অন্যদিকে করোনায় মৃতের সংখ্যাও এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় গোটা দেশে ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। মেডিক্যাল বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ৭২,৮৭,৫৪৭ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আর তা দেওয়ার পর এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার সংখ্যা ১,৪২,৪৬,৮১,৭৩৬-তে পৌঁছে গিয়েছে।