বেড়ে চলেছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা, বর্ষবরণ ও বড়দিনের উৎসব বন্ধ দিল্লিতে
বেড়ে চলেছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা, বর্ষবরণ ও বড়দিনের উৎসব বন্ধ দিল্লিতে
ওমিক্রন জ্বরে কাবু গোটা দেশ। দেশের রাজধানী দিল্লিতেও ক্রমে বেড়ে চলেছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের কেস। দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ৫৭ জনের শরীরে ওমিক্রনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে দিল্লিতেই সংক্রমণ সর্বাধিক। এরকম পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার বর্ষবরণ ও বড়দিন উপলক্ষ্যে হওয়া সমস্ত অনুষ্ঠান ও জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বুধবার দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ)–এর পক্ষ থেকে জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবে যেন কোনওভাবেই ভিড় বা জমায়েত না হয়।
বর্ষবরণ ও বড়দিনের উৎসব নয় দিল্লিতে
এছাড়াও জেলা শাসকদের বড়দিন এবং নববর্ষের আগে জাতীয় রাজধানীতে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ সুপারস্প্রেডার এলাকাগুলি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। ডিডিএমএ তার নির্দেশে বলেছে, হু ওমিক্রনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন অ্যাখা দিয়েছে এবং দিল্লিতে গত কয়েকদিন যাবৎ ওমিক্রনের কেস বাড়তে দেখা গিয়েছে। জেলা শাসক এবং জেলা প্রশাসকদের ওমিক্রন সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে তাঁদের নিজ নিজ এখতিয়ারে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের এবং দিল্লি পুলিশকে এই নতুন নির্দেশিকা যাতে যথাযথভাবে মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা আধিকারিকদের আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিভিন্ন বণিক সভাগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন মাস্ক ছাড়া কোনও গ্রাহককে প্রবেশ করতে না দেয়।
কি কি নিয়ম জারি হল
ডিডিএমএ জেলা শাসক ও ডেপুটি কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছে যে মানুষ যাতে সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক পরার নিয়ম মেনে চলে তার জন্য কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ যেন করা হয়। নির্দেশিকা অনুযায়ী, সামাজিক, রাজনৈতিক, ক্রীড়া, বিনোদন, সংস্কৃতি, ধর্মীয়, উৎসব সংক্রান্ত জমায়েত ও ভিড় দিল্লির এনসিটি জুড়ে নিষিদ্ধ। ডিডিএমএ-এর নির্দেশ অনুযায়ী, রেস্তোরাঁ ও পানশালাতে ৫০ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে চালাতে হবে। শুধু তাই নয়,
অডিটোরিয়াম–বিধানসভাতেও ৫০ শতাংশ
অডিটোরিয়াম/বিধানসভাতেও ৫০ শতাংশ আসন ক্ষমতা নিয়ে চলবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০০ জনের বেশি অতিথির অনুমতি নেই। এছাড়াও, স্টেডিয়াম/স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ক্রীড়া কার্যক্রম শুধুমাত্র দর্শক ছাড়াই অনুমোদিত। সাপ্তাহিক বাজারগুলিতে কঠোরভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে।
ফিরিয়ে আনা হোক নৈশকালীন কার্ফু
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সতর্ক দিল্লি প্রশাসন। সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে প্রস্তুত থাকার জন্য 'ওয়ার রুম' তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সংক্রমণ কমাতে নৈশকালীন কার্ফু সহ অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাগুলি আবারও ফিরিয়ে আনার কথা বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছে।