বিয়ের পর স্বামীর মুখ দেখার সুযোগ হয়নি, শহীদ স্বামীর স্মৃতি আগলেই ১০৩ বছরে মারা গেলেন সায়রা
বিয়ের পর স্বামীর মুখ দেখার সুযোগ হয়নি। বিয়ের পরপরই বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক হিসেবে স্বামী ঘর ছেড়েছিলেন।
বিয়ের পর স্বামীর মুখ দেখার সুযোগ হয়নি। বিয়ের পরপরই বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক হিসেবে স্বামী ঘর ছেড়েছিলেন।
পরে যখন স্বামীর খবর এল, তখন সব শেষ। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে স্বামী শহীদ হওয়ার পর তাঁর স্মৃতি আগলে ৮০ বছর কাটিয়ে দিলেন স্ত্রী। ঘটনা রাজস্থানের ঝুঞ্জহুনু জেলার ধানুরি গ্রামের। শেষ পর্যন্ত ১০৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন দেশের সবচেয়ে প্রবীণ শহীদ স্ত্রী সায়রা বানো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহেই ১৯৩৯ সালে তাজ মহম্মদ খানের সঙ্গে সাইরার নিকা হয়। সেসময় বিয়ের আগে স্বামীর মুখ দেখার নিয়ম না থাকায় কোনওভাবে স্বামীর সঙ্গে কোনও পরিচিতি তৈরি হয়নি। এমনকী বিয়ের পরও স্বামীর মুখ দেখার সুযোগের আগেই সেনার কাজে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর অপেক্ষার ৬ বছর!
৬ বছরের অপেক্ষার পর স্বামীর শহীদ হওয়ার খবর পান সায়রা। এরপর আর বিয়ে করেননি তিনি।স্বামীকে ভালোবেসেই স্বামীর স্মৃতিকে সম্বল করে রেখে পুরো জীবনটাই কাটিয়ে দেন। স্বামীর স্মৃতি আগলে রাখবেন বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনওদিনও নিজের বাড়িতেও ফিরে যাননি।
সাম্প্রতিক সময়ে সায়রা এক ইন্টারভিউয়ে বলেছিলেন, 'এখনও পর্যন্ত স্বামীকে কোনোদিনও দেখার সুযোগই হল না। স্বামী তাজ মহম্মদ কেমন দেখতে ছিল জানিনা। আসলে বিয়ের পরপরই তো যুদ্ধে চলে গেল। মুখটা দেখা সুযোগ হয়ে ওঠেনি। যুদ্ধ শেষের পর ওর জন্য অনেক অপেক্ষা করেছি। কিন্তু আমার জন্য ও আর ফিরে আসেনি। পরে ওর মৃত্যুর খবর এল। শহীদ স্বামী শরীর আর ফেরে নি। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলাম। ওর সঙ্গে বিয়ে হলেও আমি কোনদিনও আমার স্বামীর মুখ দেখতে পাইনি। এরপরই ঠিক করি ওর স্মৃতিকে আজীবনের জন্য সঙ্গী করে জীবন কাটিয়ে দেব।'
পুরু ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিরিখে 'জরুরি অঞ্চল' হিসাবে চিহ্নিত বুধবার থেকেই