কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত বৃদ্ধরাই বেশি, তাদের জন্য রইল ৬টি টিপস
কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত বৃদ্ধরাই বেশি, তাদের জন্য রইল ৬টি টিপস
করোনা ভাইরাস মারাত্মক রূপ নিয়েছে গোটা বিশ্বে। এই মহামারি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সকলেই। কিন্তু এই রোগে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যেই বেশি দেখা দিচ্ছে। চিন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃদ্ধদের বিশেষ করে যাঁদের দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা চলছে তাঁদের এই করোনার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি রয়েছে। করোনার ভয়ে বিশ্ববাসী রীতিমতো একঘরে হয়ে রয়েছেন, এরই মধ্যে এই করোনাতে সবচেয়ে সবেশি মারা গিয়েছেন বয়স্করাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তাদের ওয়েবসাইটে কোভিড–১৯ নিয়ে একটি সাইট খুলেছে, যেখানে মানুষ এই রোগের বিষয়ে সব তথ্য পাচ্ছেন।
বয়স্কদের
মধ্যে
দুর্বল
প্রতিরোধ
ক্ষমতা
ও
স্বাস্থ্যের
অবনতির
কারণে
কোভিড–১৯
সহজেই
তাদের
আক্রান্ত
করে।
বৃদ্ধ–বৃদ্ধাদের
মধ্যে
কোভিড–১৯
আক্রান্তের
ঝুঁকিও
বেশি
এবং
এই
রোগে
আক্রান্ত
হয়ে
মৃত্যু
পর্যন্ত
হতে
পারে
তাদের।
যদিও
বৃদ্ধরাই
কেন
এই
রোগে
আক্রান্ত
হচ্ছেন
তার
সঠিক
জবাব
জানা
নেই।
এটা
হতে
পারে
বয়সজনিত
কারণে,
এই
সময়
দেহের
প্রতিরোধ
ক্ষমতা
অনেকটাই
কমে
যায়
যে
জন্য
তাঁরা
কোনও
রোগ
বা
জীবাণুর
সঙ্গে
লড়তে
পারেন
না।
৬৫
বছর
বা
তার
ঊর্ধ্বে
যাদের
বয়স
তাদের
ঝুঁকি
বেশি
বলে
মনে
করছেন
বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও
যাদের
ফুসফুসে
সংক্রমণ,
ক্যান্সার,
হৃদযন্ত্রের
সমস্যা,
সেরিব্রোভাসকুলার
রোগ,
শ্বাসযন্ত্রের
রোগ,
লিভারের
সমস্যা
বা
ডায়বেটিক
রয়েছে
তাদের
এই
কোভিড–১৯
থেকে
একটু
সাবধানে
থাকতে
হবে।
সম্প্রতি
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে
গাইডলাইন
দেওয়া
হয়েছে
যে
৬০
বছর
বা
তার
বেশি
বয়সের
ব্যক্তিরা,
যাদের
দৈহিক
বিভিন্ন
সমস্যা
রয়েছে,
তারা
যেন
জনবহরুল
এলাকা
এড়িয়ে
চলে।
বাড়িতে
থাকার
নির্দেশ
দেওয়া
হয়েছে।
বয়স্কদের
সাবধানে
কিভাবে
রাখবেন
তার
জন্য
৬টি
পরামর্শ
দেওয়া
হল।
ওষুধ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস মজুত করে রাখা
দরকারি ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস আগে থেকে কিনে রেখে দিন। যে বৃদ্ধরা দুর্বল ও দীর্ঘদিন অসুস্থ, সিডিসি তাঁদের জন্য আমেরিকায় সুপারিশ করেছে যে বেশ কিছু সপ্তাহের ওষুধ ও অন্যান্য জিনিস জোগাড় করে বাড়িতেই যেন তারা থাকে। প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরবরাহগুলি আগে থেকে মজুত করে রাখুন এবং যদি এই জাতীয় সংস্থাগুলি হ্রাস পায় সে ক্ষেত্রে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। প্রিয়জনদের কি কি ওষুধ প্রয়োজন তার খেয়াল যেন পরিবার রাখে এবং বাড়ির বয়স্কদের দিকে একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।
থাকুন পরিস্কার–পরিচ্ছন্ন
পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। ২০ মিনিট ধরে নিজেদের হাত সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে নিন, এটা করোনা ভাইরাস সচেতনতার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। যদি হ্যান্ডওয়াশ-জল না থাকে সেক্ষেত্রে স্যানিটাইজার দিয়েও হাত ঘষে নিতে পারেন। আপনার বাড়ি ও কাজের জায়গাও যেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন। নিয়মিত বাড়ি ও কাজের জায়গা পরিস্কার করুন। এমনকী ইলেকট্রনিক্সের জিনিসগুলিও।
কোনও জিনিস শেয়ার নয়
যৌথ পরিবারে যদি সবাই থাকে তবে এক-একজনের ঝুঁকি এক-এক ধরনের হতে পারে। এরকম অবস্থায় সকলেরই ঝুঁকি রয়েছে বলেই ধরে নিতে হবে। একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, অনেক বৃদ্ধই পরিবারের অন্যদের সঙ্গে বাস করেন। সেখানে শিশুরাও থাকতে পারে, যাদের মাঝে মাঝে সর্দি-কাশি হয়। সেক্ষেত্রে পরিবারের উচিত ব্যক্তিগত সমস্ত জিনিস এই মুহূর্তে আলাদা ব্যবহার করা। যেমন খাবার, জলের বোতল, বাসন। প্রয়োজন হলে বাড়ির একটি আলাদা ঘরে অসুস্থ সদস্যকে রেখে দিতে পারেন। আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থাও করলে আরও ভালো।
একাকী প্রবীণ নাগরিক যারা
অনেক বৃদ্ধই রয়েছেন যাঁরা একা থাকেন। সেক্ষেত্রে কিভাবে তাঁরা নিজেদের যত্ন নেবেন সে বিষয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। ফোন বা ই-মেল কিভাবে ব্যবহার করবেন, দরকারি ফোন নম্বর, চিকিৎসকের নম্বর সব যেন হাতের কাছে থাকে।
আতঙ্কিত নয়, আলোচনা করুন
অযথা আতঙ্কিত না হয়ে কোভিড-১৯ সম্পর্কে প্রতিবেশী, পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করুন। কেউ আক্রান্ত হলে আগাম প্রস্তুতি কি হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করে রাখুন। কোভিড-১৯ সম্পর্কে যতটা সম্ভব সচেতনতা বাড়ান, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। তাঁরা যাতে কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে না বের হন সেদিকে নজর রাখুন এবং তাদের আশ্বস্ত করুন যে ভয়ের কিছু নেই।
চিকিৎসক–বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মানা
কোভিড-১৯ নিয়ে আতঙ্ক না বাড়িয়ে বরং চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মেনে চলুন। কিছুদিন বৃদ্ধদের বাড়ির বাইরে বের হতে না দিয়ে বাড়িতেই রাখুন। বিভিন্ন ধরনের ফিট থাকার শরীরচর্চা এইসময় তাঁরা করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এই সময় যথেষ্ট প্রয়োজন। সর্দি-কাশি হলে তা এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।