কাশ্মীর-প্রতিবেদন নিয়ে দিল্লির প্রতিক্রিয়া হতাশ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল, এল জবাব
ওএইচসিএইচআর বলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবেদনটিকে 'খতিয়ে না দেখে এবং কাশ্মীরের মানবাধিকার অবস্থা সম্পর্কে ব্যবস্থা না নিয়ে', প্রতিবেদনটি বাতিল করে দিয়েছে।
কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের রিপোর্টের খড়া সমালোচনা করেছিল নয়াদিল্লি। বিদেশ দপ্তর ওই রিপোর্টকে, প্রতারণামূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছিল। ওএইচসিএইচআর বলেছে, ভারতের এই প্রতিক্রিয়ায় তারা হতাশ। তাদের দাবি নয়াদিল্লি প্রতিবেদনটিকে 'খতিয়ে না দেখে এবং কাশ্মীরের মানবাধিকার অবস্থা সম্পর্কে ব্যবস্থা না নিয়ে', প্রতিবেদনটি বাতিল করে দিয়েছে।
নয়াদিল্লির অভিযোগ ছিল ওএইচসিএইচআর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। শোনা গিয়েছিল জাফর বাঙ্গাস নামে কানাডার এক পাক বংশোদ্ভূত ইমামের প্রভাবে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছেন অফিস অব দ্য হাইকমিশনার অব হিউম্যান রাইটস-এর প্রধান জায়েদ রাদ আল হুসেইন। জায়েদ রাদ আল হুসেইন-এর পাক যোগ প্রমাণ করতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তিন বাসিন্দার সঙ্গে তাঁর ছবিও সামনে নিয়ে আসা হয়।
ওএইচসিএইচআর এই প্রতিটি অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য প্রতিবেদনটি করা হয়েছিল রিমোট মনিটরিং-এর মাধ্যমে। অর্থাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টের ভিত্তিতে। কারণ, কাশ্মীর অঞ্চলে ওএইচসিএইচআর-কে নিঃশর্ত প্রবেশাধিকার ভারত বা পাকিস্তান কেউই দিতে পারেনি। এই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতেরই সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট, বিদেশ মন্ত্রক জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা থেকে সংগৃহীত তথ্য। ৩৮৮ পাতার রিপোর্টের প্রত্যেক পাতায় ফুটনোট করে তথ্যসূত্রও উল্লেখ করা আছে।
জাফর বাঙ্গাসের থেকে তারা কোনও তথ্যই নেননি বলেও দাবি করেছে ওএইচসিএইচআর। তাদের বক্তব্য যেরকম প্রতিদিন হাজার হাজার ইমেল আসে তাদের দপ্তরে সেরকমই জাফরও হয়তো ইমেল পাঠিয়ে থাকবেন। আর পার অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সঙ্গে জায়েদ রাদ আল হুসেইনের সঙ্গে ছবি প্রসঙ্গে তারা বলেছে, অনেকেই জায়েদের সঙ্গে ছবি তুলতে চান। তিনি সবার সঙ্গেই ছবি তোলেন।
আর তাই তাদের দাবি ভারত ভাল করে তাদের রিপোর্টটি পড়েইনি। না পড়েই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হতাশা প্রকাশ করে ওএইচসিএইচআর বলেছে নয়াদিল্লি তাদের রিপোর্টটা পড়ে কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি বদলাবার উদ্যোগ নেবে আশা করেছিলেন তাঁরা।