তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের, অফিসারদের গ্রেফতারি নিয়ে কী জানাল আদালত
বিভিন্ন জায়গাতেই এখনও ব্যবহার হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা। যা আইন অনুযায়ী অসাংবিধানিক। আর এই অসাংবিধানিক আইন প্রয়োগ কেন হচ্ছে এখনও?
বিভিন্ন জায়গাতেই এখনও ব্যবহার হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা। যা আইন অনুযায়ী অসাংবিধানিক। আর এই অসাংবিধানিক আইন প্রয়োগ কেন হচ্ছে এখনও? তা নিয়ে অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করে দেশের শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, কোনও ওয়াবসাইটে যদি কুরুচিকর কোনও কিছু পোস্ট করা হয়, তা তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত এই আইনের আওতায় আসে। বিচারপতি রোহিংটন নরিম্যান ও বিচারপতি বিনীত শরণের বেঞ্চ এদিন সাফ জানায়, ৬ (এ )ধারা মোটেও স্পষ্ট নয় এবং তা 'অসাংবিধানি'। ২০১৫ সাল থেকেই এই আইন বাতিল করা হয়েছে। এরপরও এদেশে ৬৬ (এ) ধারায় ২২ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা আইন বিরুদ্ধ। আদালত এদিনের রায়ে হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছে, এই মামলায় এই অংসাবিধানিক ধারায় যে সমস্ত অফিসার গ্রেফতারিরক নির্দেশ দিয়েছেন এবার তাঁদেরই হাজতবাস করতে হবে!
এর আগে ২০১২ সালে এই সংক্রান্ত ধারার আওতায় পড়ে যান মুম্বইয়ের দুই মেয়ে । মারাঠি নেতা বাল ঠাকরের মৃত্যুতে মুম্বই কেন স্তব্ধ তা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই ৬৬ (এ) ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। যে ঘটনার পর এই আইনে সংশোধনীর দাবি তোলা হয়। এরপরই ২০১৩ সালে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় , সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও আপত্তিকর মন্তব্য ও পোস্ট-এর জন্য সঙ্গে সঙ্গে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না আই জি বা ডিজিপি-র আনুমতি ব্যতীত। এ নিয়ে বিচারপতিদের যুক্তি, যে আইন সুস্পষ্ট নয় তাকে বলবৎ করার প্রয়োজন নেই।