ওড়িশার ভুয়ো মাওবাদীর দল এখন নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের
ওড়িশার ভুয়ো মাওবাদীর দল নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের
ওড়িশার
মাওবাদী
অধ্যুষিত
কোরাপুত
জেলায়
জোর
করে
চাঁদা
আদায়
ও
জুলুমবাজির
প্রায়
চল্লিশটি
মামলা
দায়ের
হয়েছে,যার
মধ্যে
৩১
জনকে
নকল
মাওবাদী
হিসাবে
চিহ্নিত
করা
গেছে।
নিজের
মাওবাদী
পরিচয়
দিয়ে
জোর
করে
এলাকার
মানুষের
থেকে
টাকা
তোলা
ও
লুঠতরাজের
একাধিক
অভিযোগ
রয়েছে
এই
ভুয়ো
মাওবাদীদের
বিরুদ্ধে।
মাও চিহ্নিতকরণ
এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই, ওড়িশার মাওবাদী অধ্যুষিত কোরাপুত এলাকায় একটি পাথর ভাঙার দলের প্রধান তাদের দলের একাধিক সদস্যকে মাওবাদী হিসাবে চিহ্নিত করেন। পাশাপাশি পুলিশে অভিযোগ জানালে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তারা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও হুমকি দেয় বলে জানা যায়।
মাও বলে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়
গত প্রায় ৪ বছর ধরে, কোরাপুতের লামতাপুত ব্লকের শিলিপোন্ডি গ্রামে পাথর পেষণকারী একটি ইউনিট চালাচ্ছিলেন ভি প্রসাদ রাও। ওই ইউনিটের একাধিক সদস্য নিজেদের মাওবাদী বলে দাবি করে ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করে। পুলিশে অভিযোগ করলে ইউনিটটি উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
চাওয়া হয় মুক্তিপণ
৮ ই নভেম্বর তারা রাওর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা সদলবলে ইউনিটে এসে গুলি চালানো শুরু করে। ভাগ্যক্রমে যথাসময়ে পুলিশ এসে পৌঁছলে শুরু হয় খণ্ড যুদ্ধ। গুলির লড়াই শেষে উপজাতি সম্প্রদায়ভু্ক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নকল মাওবাদী
কোরাপুত পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার ভামো এই বিষয়ে বলেন, "আমরা লক্ষ্মণ সিসা নামে যখন এক ব্যক্তির গ্রেপ্তারির পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় সে একজন নকল মাওবাদী। তাদের দলটি নিজেদের সত্যিকারের মাওবাদী পরিচয় দিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতো।"
গত তিন বছরে ৩১ জন ভুয়ো মাওবাদী পুলিশের জালে
এদিকে কোরাপুতে গত তিন বছরে এরকম ৪০ টি ঘটনা পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে। পুলিশি তদন্তে দেখা গেছে যার মধ্যে যার মধ্যে প্রায় ৩১ জনই ভুয়ো মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। কোরাপুত বরাবরই মাওবাদীদের আধিপত্য তুলনামূলক ভাবে বেশি। এবার সেটাকে কাজে লাগিয়েই মানুষকে ভয় দেখিয়ে নির্বিচারে লুঠতরাজ চালাচ্ছে একশ্রেণীর প্রতারকের দল, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
পুলিশের নজর
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্থানীয় ঠিকাদারদের কাছ থেকে বলপূর্বক চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল কোরাপুতের পুলিশ। পরে তাদের কাছ থকে একটি দেশ রাইফেল, মাওবাদী লেটার প্যাড, মাওবাদী ইউনিফর্ম এবং একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।
কাজ না করলে পাবলিক ধরবে মমতাকে! সরকারি আধিকারিকদের নয়, কড়া হুঁশিয়ারি