বঙ্গের আধিপত্যে ভাগ বসাল কলিঙ্গও, ওড়িশার জিআই প্রাপ্তিতে রসগোল্লা এখন ‘আমাদের’
রসগোল্লা কার? বাংলার না ওড়িশার? বাংলার পর ওড়িশার রসগোল্লাও পেল জিআই ট্যাগ। দু’বছর আগে বাংলার রসগোল্লা জিআই ট্যাগ পেয়েছিল। অবসান ঘটেছিল বিতর্কের।
বাংলার পর ওড়িশার রসগোল্লাও পেল জিআই ট্যাগ। দু'বছর আগে বাংলার রসগোল্লা জিআই ট্যাগ পেয়েছিল। অবসান ঘটেছিল বিতর্কের। রসগোল্লা কার? বাংলার না ওড়িশার? দু-বছর বাংলা একাধিপত্য কায়েম রাখলেও সোমবার ওড়িশা জিআই ট্যাগ পাওয়ায়, রসগোল্লা আবিষ্কারের একচেটিয়া কৃতিত্ব হারাল বাংলা। রসগোল্লার পরিচিতি এবার ওড়িশার রসগোল্লা নামেও।
ওড়িশার তরফ থেকে দাবি করা হয়, ভুবনমোহিনী মিষ্টান্নের উৎসভূমি মহানদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। সেই দাবির সমর্থনে প্রমাণ সংগ্রহ করার পরই জিআই ট্যাগ পেল ওড়িশা। দু-বছর আগে মর্যাদা হারানোর পর কমিটি গঠন করে প্রমাণ জোগাড়ের তোড়জোড় চলে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে রসগোল্লার উৎসভূমি হিসেবে বাংলার নাম ঘোষণা হয়েছিল। রসগোল্লার আবিষ্কর্তার হিসেবে নবীনচন্দ্র দাসের নাম উঠে এসেছিল। তা সত্ত্বেও ওড়িশার দাবি ছিল, বাংলার রসগোল্লা আগে আবিষ্কার করলেও ওড়িশার রসগোল্লা অন্য সবার থেকে একেবারেই স্বতন্ত্র। একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির রসগোল্লা। এই রসগোল্লা রসালো, নরম এবং মুখে দিলেই গলে যায়। উল্লেখ্য, বাংলার রসগোল্লার খ্যাতি তার স্পঞ্জ প্রকৃতির জন্য।
এতদিন রসগোল্লা নিয়ে একা দাবিদার ছিল বাংলা। বাংলা দাবি করত, রসগোল্লা আমার। কিন্তু এদিনের পর সেই দাবি আর সংগত রইল না।। সোমবারের পর রসগোল্লা হয়ে গেল আমাদের। বাংলার আধিপত্যে ভাগ বসাল ওড়িশাও। বঙ্গের সঙ্গে কলিঙ্গও এখন রসগোল্লার দাবিদার।