উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি! কখন উপকূলে আঘাত, একনজরে ৬ আপডেট
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি! কখন উপকূলে আঘাত, একনজরে ৬ আপডেট
দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সন্নিহিত এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণাবর্ত। যা প্রথমে নিম্নচাপ এলাকা তৈরি করবে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আগেকার ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতাকে স্মরণে রেখে ওড়িশা সরকারের তরফে সতর্কতা জারি করেও বলা হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার তৈরি। জেলাাশাসকদের তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
|
আবহাওয়া দফতরের ব্যাখ্যা
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ মে নাগাদ ঘূর্ণাবর্ত থেকে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যা পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরবে এবং ৮ মে নাগাদ এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হবে।
ঝড়ের বেগ হতে পারে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৭৫ কিমি
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ৫ মে থেকে হাওয়ার বেগ ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি হতে পারে। যা দমকা হাওয়ার ক্ষেত্রে ৫৫-৬৫ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। আর ৮ মে নাগাদ তা বেড়ে ঘন্টায় ৭৫ কিমি পর্যন্ত হতে পারে।
রাজ্য সরকার তৈরি
রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে চলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। যদিও পরে ওড়িশার মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্য পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে। জেলাশাসকদের এব্যাপারে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যসচিব বলেছেন, সমুদ্রের মধ্যে নিম্নচার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় না। আবার অনেকগুলির শক্তি আবার সমুদ্রেই হারিয়ে যায়। যদি ঘূর্ণিঝড় শেষ পর্যন্ত এসেই যায়, তাহলে উদ্ধার কেন্দ্রগুলিকে আগে থেকেই চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা খোলা রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য মজুত নয়
রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যা করলে বাজারে কৃত্তিম ঘাটতি তৈরি হতে পারে এবং তাতে অসাধু ব্যবসারীরাই লাভবান হবে। খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তাঁর দফতর পর্যবেক্ষণ করছে। যারা কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্দামানের মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কতা জারি
আবহাওয়া দফতরের তরফে আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। পরের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী ওড়িশা
ওড়িশার মানুষ গত তিন বছর ধরে গ্রীষ্মকালে পরপর ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়েছেন। ২০১৯-এ ফণী, ২০২০-তে আম্ফান এবং ২০২১-এ ইয়াস আঘাত হেনেছিল ওড়িশায়।