করোনা মোকাবিলা! মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে খরচ ৪৭২ কোটির
রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ( Chief Minister's Relief Fund) থেকে করোনা (Coronavirus) মোকাবিলায় গত মার্চ থেকে ৪৭২.৬৩ কোটি টাকা খরচ (Expenditure) করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন, রাজ্যের পরিকল্পনা মন্ত্রী পদ্মনাভ বেহেরা। বিধানসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে এইকথা জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ছাড়াও করোনা মোকাবিলায় বাজেট বরাদ্দ থেকেও খরচ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় ওড়িশায় (Odisha) ২ হাজার কোটি টাকার ওপর খরচ হয়ে গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে কত জমা, নেই উল্লেথ
তবে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে উল্লেখ নেই মার্চ থেকে অর্থাৎ করোনা মহামারী আকার নেওয়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে সেই তথ্যের।

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে জেলায় সাহায্য
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে জেলাশাসকদের অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, করোনা মোকাবিলা করার জন্য। যার মধ্যে রয়েছে, পুলিশকর্মীদের কল্যাণ, শ্রমিক এক্সপ্রেসের টিকিট, পরিযায়ীদের কোয়ারেন্টাইন, নেপালে আটকে পড়া পরিযায়ীদের রাজ্যে ফেরানো, করোনা মোকাবিলায় শহর ও গ্রামে ওয়ার্ড লেভেল কমিটি গঠন।
তবে সরকারি সূত্র অনুযায়ী এই অর্থের বেশিরভাগটাই খরচ হয়েছে, পরিযায়ীদের কোয়ারেন্টাইন ইনসেনটিভ দিতে। রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছিল ইনসেনটিভ দেওয়া হবে মাথাপিছু ২ হাজার টাকা করে।

পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দা ১৬০ কোটি টাকা
অন্যদিকে গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েতে কোয়ারেন্টাইন ইনসেনটিভ দিতে সরকারের তরফ থেকে খরচ করা হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। শহুরে এলাকায় কোয়ারেন্টাইনে সহযোগিতার জন্য নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে ৫.৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
৭ লক্ষ পরিযায়ীর হাতে ১৩৫ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। সরকারি তরফ থেকে জানানো হয়েছে অন্য পরিযায়ীদেরও ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পুলিশ কর্মীদের কল্যাণে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, শহুরে এলাকার রাস্তার পাশের ভেন্ডারদের জন্য। যারা লকডাউনের জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।

শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের জন্য অর্থ রেলকে
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের জন্য ৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়েকে।
করোনা মোকাবিলায় গ্রামে ৪৬ হাজার এবং শহরে ২ হাজার ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার জন্য খরচ করা হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা। পাশাপাশি লকডাউনের সময় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশুদের খাওয়াতে ১.৩৪ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

মমতার রাজ্যেও যোগী রাজ্যের মতো ঘটনা! সাংসদ, বিধায়কের নাম তুলে একের পর এক ঘটনায় আক্রমণ সেলিমের