ওড়িশার সম্মানরক্ষায় ব্রতী মুখ্যমন্ত্রী পট্টনায়েকের নিশানায় বিজেপি ও কংগ্রেস
এবার বিজেপি এবং কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করে বসলেন নবীন পট্টনায়েক। সাফ জানিয়ে দিলেন, ওড়িশার আঙিনায় দুই দলই বেমানান। একমাত্র তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দল তথা বিজেডি ওড়িশার মানুষের স্বার্থের জন্য লড়াই করতে পারে বলেও দাবি করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে জাতীয় ভাষা হিন্দির থেকে মাতৃভাষা ওড়িয়াই যে তাঁর কাছে অধিক দামী, তাও জানাতে ভোলেননি নবীন পট্টনায়েক।

বিজু যুব জনতা দলের প্রথম এগজিকিউটিভ বডির বৈঠকে নবীন পট্টনায়ক বলেন, কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত হত। বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারগুলিও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আঙুলের ইশারায় কাজ করে বলেও দাবি করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি, কংগ্রেসের মতো রাষ্ট্রীয় দলের রাজ্য প্রতিনিধিদের টু-শব্দ করার ক্ষমতা থাকে না বলে দাবি করেছেন নবীন। তাঁর কথায়, ওড়িশার মতো ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রাচুর্য সম্বৃদ্ধ রাজ্যের আবেগ বোঝা রাষ্ট্রীয় দলগুলির সাধ্য নয়।
ওড়িয়া ভাষাকে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ওড়িশা রাজ্য। এ রাজ্যের মাটির টান কেবল স্থানীয় মানুষ ও আঞ্চলিক দলগুলির পক্ষে অনুভব করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন নবীন পট্টনায়েক। তাঁর দাবি, একমাত্র বিজু জনতা দল বা বিজেডি ওড়িশার মানুষের স্বার্থের জন্য লড়াই করতে পারবে। ওড়িশার প্রতি বিজেপি এবং কংগ্রেসের দরদ লোক দেখানো বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিধায়কদের বিজেপি-তে যোগদানের হিড়িক দেখে কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছেন নবীন পট্টনায়েক। পরোক্ষে তার সূত্র টেনে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর রাজ্যের মানুষ হিন্দির থেকে ওড়িয়াকে বেশি সম্মান করেন। সেই সাবেক সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ওড়িশা বিজেপি এবং কংগ্রেসের কাছে মাথানত করবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পট্টনায়েক।