সরকারের কোয়ারান্টাইন সুবিধা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গ্রেফতার অসমের বিধায়ক
সরকারের কোয়ারান্টাইন সুবিধা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গ্রেফতার অসমের বিধায়ক
কোয়ারান্টাইন সুবিধা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় পুলিশ গ্রেফতার করল অসমের বিরোধী দলের বিধায়ককে। তিনি কোয়ারান্টইন সুবিধাকে ডিটেনশন শিবির থেকেও খারাপ বলেছেন।
ভাইরাল অডিও ক্লিপ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) নাগাঁওয়ের বিধায়ক আমিন-উল-ইসলামকে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। এআইইউডিএফ বিধায়ক ও অন্য এক ব্যক্তির টেলিফোনিক কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। নাগাঁও জেলার এসপি গৌরব অভিজিত দিলীপ জানান জেরার সময় বিধায়ক তাঁর দোষ স্বীকার করেন। তিনি বিতর্কিত ও সাম্প্রদায়িক অডিও ক্লিপ তৈরি করে তা বহু জায়গায় ফরোয়ার্ড করেন বলে জানিয়েছেন।
মোবাইল বাজেয়াপ্ত বিধায়কের
পুলিশের শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা সোমবার ওই বিধায়ককে সন্ধ্যার সময় ডেকে পাঠাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবং তাঁর মোবাইল বাঝেয়াপ্ত করি। আমরা মোবাইল ফোনেই ওই অডিও ক্লিপটি খুঁজে পাই। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে তিনি ওই অডিও ক্লিপটি অন্যদের কাছে পাঠিয়েছেন। সব প্রমাণ পাওয়ার পরই মঙ্গলবার রাত ১টার সময় আমরা তাঁকে গ্রেফতার করি। যারা এই অডিও ক্লিপটি অন্য জায়গায় ছড়িয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করব।' পুলিশ ওই বিধায়ককে আদালতে পেশ করলে তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্য
এর আগেও এআইইউডিএফ নেতা নিজামুদ্দিন মরকজের অনুষ্ঠান নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তাঁর দাবি ছিল, তাবলিঘি জামাতে যোগদানকারীদের কারোরই কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়নি এবং সরকারের তৈরি কোয়ারান্টাইন সুযোগ ডিটেনশন শিবিরের চেয়েও খারাপ। এটা সরকারের ষড়যন্ত্র এক শ্রেণীর মানু্ষকে খুন করার। সরকারের উদ্যোগের নিন্দা করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। অসমে ২৭টি কোভিড-১৯-এর কেস পাওয়া গিয়েছে যার মধ্যে ২৬টি নিজামুদ্দিন যোগ রয়েছে।