শরীরে একটা ফুসফুস, তাও মারণ করোনায় আক্রান্ত! প্রফুলিতের কাজে আশার আলো দেখছেন চিকিৎসক-গবেষকরা
লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না! করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। মারণ ভাইরাস তাঁকেও ছাড়েনি। এটা প্রথম শোনার পর অন্যদের মতো তিনিও ভেঙে পড়েন কিছুটা।ভেঙে পড়ার যদিও কারণও রয়েছে। তিনি যে অন্যদের মতো সাধারণ নয়।
লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না! করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। মারণ ভাইরাস তাঁকেও ছাড়েনি। এটা প্রথম শোনার পর অন্যদের মতো তিনিও ভেঙে পড়েন কিছুটা।
ভেঙে পড়ার যদিও কারণও রয়েছে। তিনি যে অন্যদের মতো সাধারণ নয়।
কিন্তু তাঁকে করোনাকে জয় করে অসাধারণ হয়ে উঠতেই হবে। তাঁর এই জেদই করোনা মুক্ত সাহায্য করেছে তাঁকে।
কিন্তু লড়াইটা বেশ কঠিনই ছিল। ভাবছেন তো ব্যাপারটা কি?
মধ্যপ্রদেশের ৩৯ বছরের প্রফুলিত পিটার। পেশায় নার্স। খুব ছোটবেলাতেই দু'টি ফুসফুসের একটি বাদ পড়েছিল। একটা ফুসফুস নিয়েই কাজ করে যাচ্ছিলেন। দেশে করোনা সংক্রমণের গোড়া থেকেই কাজ করছেন কোভিড বিভাগে। ভয়, আতঙ্ককে জয় করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়ে পড়েন তিনি। শরীরে থাকা একটি মাত্র ফুসফুসে ভয়ঙ্করভাবেই করোনা আঘাত হানে। প্রথম শুনে কিছুটা হলেও ভেঙে পড়েন প্রফুলিত পিটার। কিন্তু ভাঙলে তো চলবে না। আর তাই বাড়িতেই শুরু হয় ১৪ দিন লড়াই। কঠিন লড়াই।
আর সেই লড়াই জিতে মাত্র ১৪ দিনেরই সংক্রমণ কাটিয়ে উঠেছেন প্রফুলিত। কিন্তু কী ভাবে মোকাবিলা করলেন সংক্রমণের? তাঁর কথায়, নিয়মিত যোগাসন, প্রাণায়ম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে গিয়েছেন।
আর তাতেই নাকি করোনা তাঁর শরীর থেকে পালিয়েছে। প্রফুলিত পিটারের এই লড়াইয়ের কথা শুনে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন ডাক্তাররা-গবেষকরা।
প্রফুলিত জানিয়েছেন, ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকাকালীন প্রত্যেকদিন প্রাণায়াম করেছি। করেছি যোগাসন। এছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসের বেশ কিছু ব্যআয়মও করেছি।
১৪ দিনের পর টেস্ট করলে করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বলে জানিয়েছেন প্রফুলিত। ডাক্তারদের একাংশ বলছে, ব্যায়াম সবসময় উপযোগী। বিশেষ করে শ্বাস নিয়ে ধরে রাখার মতো ব্যায়াম এই সময় খুবই কাজে লাগতে পারে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রোনিংয়ের কথা বলা হচ্ছে।
এ ছাড়াও যোগাসনের মধ্যে যেগুলি শ্বাসের ব্যায়াম, সেগুলিও খুব কাজের।''এগুলি করলে শরীরে শ্বাস প্রশ্বাসের বিষয়টি ঠিক থাকবে বলেই মনে করছেন ডাক্তাররা।