সংঘর্ষ, দাঙ্গা কমলেও দেশে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট
দেশে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও দাঙ্গার ঘটনা কমেছে। এমনই আশার কথা শুনিয়েছে এনসিআরবির রিপোর। তবে সংঘর্ষে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৭ সালে ১৬১টি দাঙ্গা বা গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছে। তার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৭ জন।
দেশে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও দাঙ্গার ঘটনা কমেছে। এমনই আশার কথা শুনিয়েছে এনসিআরবির রিপোর্ট। তবে সংঘর্ষে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৭ সালে ১৬১টি দাঙ্গা বা গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছে। তার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৭ জন। গত বছরের থেকে ৫ শতাংশ কমেছে দাঙ্গা বা গোষ্ঠী সংঘর্ষ। সেতুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২২ শতাংশ। তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিহার
দাঙ্গা বা গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা কমেছে দেশে
২০১৭ সালের পরিসংখ্যান বলছে দেশে মোট ৫৮,৮৮০টি দাঙ্গা বা গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০,৩৯৪। গত বছরে দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল ৬১,৯৭৪টি। তাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৩,৭৪৪ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১৯৬টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে এবং আক্রান্ত হয়েথেম ২০২ জন।
দাঙ্গা বা গোষ্ঠী সংঘর্ষে শীর্ষে বিহার
নীতীশ কুমার শাসিত বিহারে দাঙ্গা বা গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা সবচেয়ে বেশি বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে বিহারে ১১,৬৯৮টি দাঙ্গা বা গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই রয়েছে যোগীর উত্তর প্রদেশ। সেখানে ৮,৯৯০টি এবং মহারাষ্ট্রে ৭,৭৪৩টি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালেও বিহার এই তালিকার শীর্ষে ছিল। অর্থাৎ অবস্থার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি।
দাঙ্গায় আক্রান্তের সংখ্যার শীর্ষে তামিলনাড়ু
একদিকে বিহারে যখন সর্বাধিক দাঙ্গার ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে দক্ষিণের রাজ্যে তামিলনাড়ুতে বেড়েছে দাঙ্গায় আক্রান্তের সংখ্যা। ২০১৭ সালে তামিলনাড়ুতে ১৯৩৫টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। তাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৭৪৯ জন। কাজেই বোঝা যাচ্ছে তামিলনাড়ুতে কী ভয়ঙ্কর হিংসাত্মর আকারে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাজ্যে এক একটি দাঙ্গায় গড়ে ৯ জন করে আক্রান্ত হন।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কমেছে দেশে
এনসিবিআরের রিপোর্টে উঠে এসেছে আরো একটি আশার কথা। দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সংখ্যা কমেছে। ২০১৬ সালে যেখানে ৮৬৯টি ধর্মীয় হানাহানির ঘটনা ঘটেছিল। সেটা ২০১৭ সালে কমে ৭২৩-এ পরিণত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। ২০১৬-তে যেখানে ১,১৩৯ ছিল আক্রান্তের সংখ্যা সেটা ২০১৭ সালে কমে হয়েছে ১,০৯২। এক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে সেই বিহার(১৬৩)। তারপরেই রয়েছে কর্নাটক (৯২) এবং ওড়িশা(৯১)।
জাতপাতের সংঘর্ষ
দেশে যে এখনও জাতপাতের ভেদাভেদ ভয়ঙ্কর রকম ভাবে রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই পরিসংখ্যানে। যদিও সই সংঘর্ষের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে জাতপাতের লড়াই কমেছে ৬৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে অবশ্যে বিহারকে ছাপিয়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশ।
মহিলাদের উপর অপরাধে শীর্ষে মহারাষ্ট্র, দ্বিতীয় স্থানে বাংলা, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট
খুন আর হত্যায় শীর্ষে দেশের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, রিপোর্ট এনসিআরবি-র