করোনা নিয়েই সর্বাধিক চিন্তিত আম-আদমি, অনলাইনে ডাক্তারের পরমার্শ নেওয়ার প্রবণতায় রেকর্ড বৃদ্ধি
করোনা নিয়েই সর্বাধিক চিন্তিত আম-আদমি, অনলাইনে ডাক্তারের পরমার্শ নেওয়ার প্রবণতায় রেকর্ড বৃদ্ধি
করোনাকালে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে লকডাউন আর আনলকের ঘেরাটোপেই দিন কাটছে বিশ্ববাসীর। কখনও করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় শুরু হচ্ছে আনলক পর্ব, আবার কখনও সংক্রমণের গতি বাড়ায় ফের শুরু হয়ে যাচ্ছে লকডাউন। আর দুই মিলে ঘরবন্দি আম-আদমি। এদিকে করোনার পাশাপাশি বরাবরের মতোই সারাবছরই লেগে রয়েছে একাধিক রোগ। আর ডাক্তারের পরামর্শ নিতে এই ক্ষেত্রে বর্তমানে সাধারণ মানুষের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠছে অনলাইন মাধ্যমই।
কী বলছে প্র্যাক্টো-র রিপোর্ট
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় পর্বের করোনাকালে ভারতে অনলাইনে চিকিৎসকদের পরামর্শ বা অনলাইন কনসাল্টেন্সির পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছ। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যেই এই ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনা কালের আগে ২০২০ সালে জানুয়ারি-ফ্রেব্রুয়ারির তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে সম্প্রতি এই নয়া সমীক্ষা এনেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা প্র্যাক্টো।
উঠে আসছে আরও চমকপ্রদ তথ্য
অন্যদিকে সমীক্ষায় উঠে আসছে আরও চমকপ্রদ তথ্য। দেখা যাচ্ছে অনলাইন কনসাল্টেন্সির জন্য যত মানুষ চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে সিংহভাগই করোনা ভাইরাস ও মরসুমি জ্বরের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। দ্বারস্থ হয়েছেন পালমোনোলজি এবং জেনারেল ফিজিশিয়ানদের। অন্যদিকে ১০ শতাংশ মানুষ পরামর্শ নিয়েছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের, ৮ শতাংশ মানুষ দ্বারস্থ হয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের, ,৮ শতাংশ মানুষ শিশুরোগের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
৩০ শতাংশ বৃদ্ধি
অন্যদিকে এই রিপোর্টেই করোনার প্রথম পর্বের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত বিষয়েও তুল্যমূল্য বিচার করেছে প্রাক্টো। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে করোনাকালেও বরাবরেও মতো পালমোনোলজি এবং জেনারেল ফিজিশিয়ানদের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। অন্যদিকে এপ্রিল থেকে মে-এর মধ্যে এই ধরণের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
তালিকায় শীর্ষে অল্প বয়সীরা
অন্যদিকে অনেকেই ভাবেন রোগভোগের পরিমাণ বয়ষ্কদের মধ্যেই বেশি। কিন্তু প্র্যাক্টোর সমীক্ষা বলছে যত মানুষ অনলাইনে ডাক্তার দেখিয়েছেন তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ অল্প বয়সী। সহজ কথায় তাদের অর্ধেকেরই বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। অন্যদিকে অনলাইনে ডাক্তারদের শরনাপন্ন হওয়া মোট রোগীর মধ্যে ২২ শতাংশই ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অন্যদিকে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা অনলাইনে ডাক্তারদের শরাপন্ন হয়েছেন।