দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, সরকারের 'বিপরীত' নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯৫০০ ছাড়িয়ে গেল। এদিন সকালে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫৯৬৬২ জন আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩২০ জন।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯৫০০ ছাড়িয়ে গেল। এদিন সকালে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫৯৬৬২ জন আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩২০ জন। নতুন করে ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টার! মৃত্যু ১ নিরাপত্তারক্ষীর, মৃত ৪ মাওবাদীও
এক তৃতীয়াংশ আক্রান্ত সুস্থ
এদিন সকাল ৮ টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে ৩৯৮৩৪ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে ১৭৮৪৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লভ আগরওয়াল জানিয়েছেন, সম্প্রতি দেশে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় করেছে। এক্ষেত্রে দ্বিগুন হওয়ার সময় যত বাড়বে ততই ভাল বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভাইরাসের সঙ্গেই বাঁচতে হবে
লভ আগরওয়াল জানিয়েছেন, আমাদেরকে ভাইরাসের সঙ্গেই বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আনতে হবে। তবে এর জন্য সবার সমর্থন জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আরটিপিসিআর মেথডে কেবল মাত্র সিভিয়ার কেসগুলির পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া অন্য ক্যাটেগরির, যেমন ভেরি মাইল্ড, মাইল্ড এবং প্রি সিম্পটোম্যাটিক এবং মডারেট রোগীদের ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে মুক্তির আগে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
'বিপরীত' নির্দেশিকা সরকারের
তবে সরকারি এই নির্দেশিকা আগেকার নির্দেশিকার ঠিক বিপরীত। কেননা সরকারের আগেকার গাইডলাইনে বলা হয়েছিল, ল্যাবে কারও রিপোর্ট পজিটিভ হলে, ১৪ দিনের মাথায় একবার এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরও একবার পরীক্ষা করাতে হবে। দুই ক্ষেত্রেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে রোগীকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যদি কারও রোগ ফের দেখা দেয়, তাহলে কোভিড কেয়ার সেন্ার কিংবা রাজ্যের হেল্পলাইন নম্বর কিংবা ১০৭৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।