গত ২৫ বছরে এই প্রথম উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় সর্বনিম্ন মুসলিম, সর্বোচ্চ মহিলা সদস্য
সবচেয়ে কম মুসলিম বিধায়াক এবং সবচেয়ে বেশি মহিলা বিধায়ক - উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ছাঁচটা গত ২৫ বছরে প্রথমবার এরকম দাঁড়াল। উত্তরপ্রদেশে বাঁধা ছকে সংখ্যালঘু ভোট টানতে মুসলিম প্রার্থী দাঁড় করায়নি বিজেপি।
লখনৌ, ১৩ মার্চ : সবচেয়ে কম মুসলিম বিধায়াক এবং সবচেয়ে বেশি মহিলা বিধায়ক - উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ছাঁচটা গত ২৫ বছরে প্রথমবার এরকম দাঁড়াল। উত্তরপ্রদেশে বাঁধা ছকে সংখ্যালঘু ভোট টানতে মুসলিম প্রার্থী দাঁড় করায়নি বিজেপি। বিধানসভায় মুসলিম বিধায়কদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই বিরোধী শিবিরের যারা বিজেপি প্রার্থীদের কাছে হেরেছে।
এবারে মাত্র ২৫ জন মুসলিম বিধায়ক থাকছেন বিধানসভায়। ১৯৯১ সালে যখন কল্যাণ সিং জিতে বিধানসভায় এসেছিলেন তখন ২৩ জন মুসলিম বিধায়ক ছিলেন। তারপর গত ২৫ বছরে এমন নজির দেখেনি উত্তরপ্রদেশ।
শুধু মুসলিম বিধায়ক নয়, পরিবর্তন এবার মহিলা বিধায়কেও। এই বছর প্রথম বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি মহিলা বিধায়কের সাক্ষী রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এবারের মহিলা বিধায়কদের মোট সংখ্যা ৪১। যাদের মধ্যে ৩৫ জনই বিজেপির প্রার্থী। মহিলা প্রাজ্ঞথীদের মধ্যে বিজেপির মনীষা অনুরাগী বুন্দেলখণ্ডের রথ আসন থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে (১ লক্ষ ভোটের বেশি ব্যবধানে)জয়ী মহিলা প্রার্থী। এমনকী বিজেপির মাত্র ৯ জন মহিলা প্রার্থী এবারের নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে হেরেছেন।
যদিও বিজেপির তরফে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়নি। তবুও যে সব এলাকায় মুসলিম প্রাধান্য বেশি এবং মোট ভোটারের ২০-৩৩শতাংশ ১০০টি আসনে জিতেছে বিজেপি।
যে ২৫টি আসনে মুসলিম প্রার্থী দিয়ে জয় পেয়েছে বিরোধি শিবির তার মধ্যে ১৮টিতে দ্বিতীয় স্থানে এসেছে বিজেপি। এবং প্রতি ক্ষেত্রেই জয়ের ব্যবধান ১৫০০-২০০০।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, মুসলিম মহিলারা ভোট দিয়েছেন তিন তলাক ইস্যুকে বিজেপির পদক্ষেপের জন্য। মুসলিম সম্প্রদায় সাধারণভাবেই মোদীর উন্নয়নকে ভোট দিয়েছেন। এককথায় বলতে গেলে মুসলিমরা ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে আর রাজনৈতিক দলগুলির ইশারায় নাচতে অস্বীকার করেছে। বিজেপিকে গ্রহণ করে অন্যদের প্রত্যাহার করেছে।
মুসলিম ভোট সপা-কং জোট এবং বসপার মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছে, আর তার লাভের গুড় খেয়েছে বিজেপি বলেও অনেকে মনে করছেন।