উৎসবের মরশুমে করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে, বুস্টার ডোজের ওপর জোর বিশেষজ্ঞদের
উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুস্টার ডোজে জোর বিশেষজ্ঞদের,
দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের চিন্তার ভাঁজ চওড়া করে দেশে উৎসবের মরশুম শুরু হতে চলেছে। যার ফলে নতুন করে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গে এনটিএজি প্রধান একে আরোরা জানিয়েছেন, উৎসবের মরশুমে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিন থেকে চার মাস করোনা বিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি বুস্টার ডোজে জোর দেওয়া পরামর্শ দিয়েছেন এনটিএজি প্রধান।
এনটিএজি প্রধান এনকে আরোরা জানিয়েছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ার বিষয়ে সাধারণ মানুশষের সেভাবে কোনও আগ্রহ দেখতে পাওয়া যায়নি। কেন্দ্র সাধারণ মানুষ যাতে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়, এই বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরেই চাহিদা কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। আগে যেখানে দৈনিক দুই লক্ষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হতো, সেখানে বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। বিনামূল্যে বুস্টার ডোজের সিদ্ধান্ত মানুষকে আগ্রহী করে তুলছে। জুলাই মাসে কেন্দ্রের তরফে বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
তবে সাধারণ মানুষ করোনার টিকা নিতে যেভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল, বুস্টার ডোজে মানুষের সেহারে আগ্রহ দেখতে পাওয়া যায়নি। এনটিএজি প্রধান আরোরা বলেন, করোনা টিকা যখন ভারতে আসে, দ্বিতীয় ঢেউ দেশের অভ্যন্তরে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনার স্ট্রেনগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গ নেই বললেই চলে। বিশ্বে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যার জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। করোনার এই স্ট্রেন অনেকটা ফ্লুয়ের মতো। তবে বিশ্বের একাধিক দেশ ওমিক্রনকে নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিয়ে এসেছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওমিক্রনকে নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। যা বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু ভারতে পুরনো ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে দেশে বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগ্রহ অনেকটাই কমে গিয়েছে।
সামনেই ভারতের উৎসেবর মরশুম। দেশের একটা অংশ বিনামূল্যে বুস্টার ডোজে আগ্রহ প্রকাশ করলেও, বাকিরা করোনাকে ফ্লু বলে উড়িয়ে দিতেই ব্যস্ত। এই প্রসঙ্গে এনটিএজির প্রধান জানিয়েছেন, বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে দেশের মানুষের এখনও বেশ কিছুটা সময় লাগবে।