আস্থানা মামলায় নাক গলিয়েছেন এনএসএ অজিত ডোভাল, সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল অভিযোগ
রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি মামলার তদন্তে নাক গলিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
সিবিআইয়ের একসময়ের নম্বর ২ অফিসার রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি মামলার তদন্তে নাক গলিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এমনকী তদন্ত থমকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করলেন সিবিআইয়ের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল এমকে সিনহা।
তাঁর দাবি, ডোভাল রাকেশ আস্থানার বাড়িতে হওয়া তল্লাশিতেও হস্তক্ষেপ করেন। গত অক্টোবরে রাকেশ আস্থানা মামলার তদন্তকারী আধিকারিকদের একজন হলেন এই সিনহা। তাঁকেও বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তি ব্যবসায়ী সানা সতীশ বাবু ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হরিভাই চৌধুরী ডোভালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
ঘটনা হল, হরিভাই চৌধুরী গুজরাত থেকে সাংসদ হয়েছেন। এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও পরিচিত এবং কাছের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে গোটা ঘটনা পরিচালিত করা হবে বলে সিনহা নাকি কানে শুনেছেন। সেদিনই এতজন সিবিআই আধিকারিককে বদলি করে দেওয়া হয়।
পিটিশনে এমকে সিনহার দাবি, মনোজ প্রসাদ, দীনেশ্বর প্রসাদ ও সোমেশ এই অভিযুক্তরা সকলেই এনএসএ অজিত ডোভালের পরিচিত বলে জেরায় জানিয়েছে। ধরে আনার পর তাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করে যে কীভাবে সিবিআই তাদের ধরে আনল। যেখানে অজিত ডোভাল তাদের পরিচিত।
একের পর এক পর্দাফাঁস করে সিনহা জানিয়েছেন, রাকেশ আস্থানার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত চালাবেন বলে অনুমতি নিতে যান একে বাসী। তবে সিবিআই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরা জানান, এনএসএ থেকে এমন করার কোনও নির্দেশ আসেনি। ২২ অক্টোবর অনুরোধ করা হলে তা পত্রপাঠ বাতিল করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, অলোক বর্মা ও রাকেশ আস্থানা- সিবিআইয়ের দুই প্রাক্তন সর্বোচ্চ আধিকারিকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির তদন্ত চলছে। দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। একদিকে যেমন সিবিআই তদন্ত করছে, অন্যদিকে তেমনই সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনও তদন্ত করছে। আদালতে মামলা উঠেছে। তার মধ্যেই উঠে এল এনএসএ অজিত ডোভালের নাম। এবার ঘটনা কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।