শুরু করেছিলেন তিনিই, তবে কাজের ধরণ ছিল আলাদা! এনআরসি নিয়ে সাফাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গগৈ-এর
অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণের তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ পড়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। সোমবার এমনটাই মন্তব্য করেছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ।
অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণের তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ পড়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। সোমবার এমনটাই মন্তব্য করেছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কুমীরের কান্নার অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রায় ৫ বছর আগে তরুণ গগৈ অসমের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এনআরসি সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছিল। দিনটি ছিল ২০১৪-র ১৭ ডিসেম্বর। সর্বোচ্চ আদালতের তরফ থেকে টাইমলাইন তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টিতে নজরদারি দায়িত্বেও ছিল সর্বোচ্চ আদালত। অর্থাৎ ২০১৬-তে অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে এনআরসির কাজ সম্পর্কে অনেকটাই ওয়াকিবহাল ছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার।
যদিও বর্তমানে তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ বাঙালি বাদ পড়ার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। একাজকে সরকারের অদক্ষতা, মানুষের প্রতি অবিচার এবং মৌলিক অধিকার খর্ব করার মতো ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তাঁরা কথা এক বলে, আর কাজ আরেক করে।
এনআরসি তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত বলে দাবি করেছেন তরুণ গগৈ। কেননা রাজ্যে এর কোনও দাবি ছিল না। কিংবা অসম চুক্তিতেও এর কোনও স্থান ছিল না। অনুপ্রবেশকারীরা ভোটের অধিকার পাচ্ছে, সেই কারণে কংগ্রেস শাসনে এনসিআর গঠন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
তরুণ গগৈ বলেছেন, সোমবার প্রকাশিত খসড়াতেও কাউকেই বিদেশি বলে চিহ্নিত করা যায়নি। তালিকায় নাম না থাকা ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে কতজন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না তাও জানা যায়নি।
গগৈ-এর দাবি, তিনি অন্য পদ্ধতিতে কাজটি শুরু করেছিলেন। স্থানীয় পুলিশ এবং স্থানীয় সংস্থার সাহায্য নিয়েছিলেন। ভোটার তালিকাকেও সেই পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। নির্বাচনের কমিশনের সাহায্যও নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গগৈ।
বর্তমানে এনআরসির কাজে একই কর্মীরা কাজ করলেও, তাদের কর্তৃপক্ষ আলাদা বলে দাবি করেছেন তরুণ গগৈ। বর্তমান কাজে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সেই কাজের পুরো নিয়ন্ত্রক বলে ইঙ্গিত করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের সঠিক কাজ করছে না জানিয়েছেন তিনি।