এনআরসি-র পর ভারতের বৃহত্তম 'ডিটেনশন সেন্টার' তৈরি হচ্ছে অসমে ! কী ঘটতে চলেছে সেখানে
অসমে কয়েকদিন আগেই ঘোষিত হয়েছে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন বা এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা। যে তালিকাতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরাই কেবল অসমে থাকতে পারবেন।
অসমে কয়েকদিন আগেই ঘোষিত হয়েছে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন বা এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা। যে তালিকাতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরাই কেবল অসমে থাকতে পারবেন। আর এই তালিকার বাইরে থাকা ১৯ লাখ মানুষের ভাগ্য এখন কোনদিকে যায়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে সংশয়। এই ১৯ লাখ মানুষ কোথায় যাবেন? কী ঘটবে এঁদের সঙ্গে? এমনই কিছু আশঙ্কার প্রশ্নের মাঝেই অসমে নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ডিটেনশন সেন্টর।
ডিটেনশন সেন্টর তৈরি হচ্ছে অসমে
গুয়াহাটি থেকে ২২ কিলোমিটারের রাস্তা। আর সেখানেই এবার থাকতে চলেছেন তাঁরা , যাঁরা 'ভারতীয়' নন এনআরসি রিপোর্ট অনুযায়ী। এমনই দাবি দেশের এক নামী সংবাদপত্রের। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় 'ডিটেনশন সেন্টার ' তৈরি হতে চলেছে অসমের গোয়ালপাড়া, মাতিয়া এলাকায়। যেখানে ৩০০০ জন মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারবেন।
অসমে ৬ টি ডিটেনশন সেন্টার
অসমে ইতিমধ্যেই রয়েছে ৬ টি ডিটেনশন সেন্টার। আর সরকার সেখানে আরও বেশ কয়েকটি ডিটেনশন সেন্টর তৈরি কররা পরিকল্প না নিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, সমস্ত কিছু মিলিয়ে , এই সবক'টি ডিটেনশন সেন্টরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার খরচ করবে ৪৫০ মিলিয়ন টাকা।
কী কী থাকবে ডিটেনশন সেন্টরে?
মাতিয়া ডিটেনশন সেন্টরে থাকবে, স্কুল, হাসপাতাল, থাকবে, মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা কোয়ার্টার। অসমের মাতিয়ার ডিটেনশন সেন্টারটি ১৫ তলা হিসাবে নির্মাণ করতে চলেছে।
সরকার কী জানিয়েছে?
২ রা সেপ্টেম্বরই , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, যাঁরা অসমের এনআরসির তালিকা থেকে বাদ গেলেন, তাঁদের সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবে সরকার। কাউকেই 'আটক' করা হবে না। তালিকা প্রকাশের ১২০ দিনের মধ্যে ফরেন ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবেন , তালিকা থেকে বাদ যাওয়া মানুষরা। এদিকে, জানা যাচ্ছে অসমের সবচেয়ে বড় ও নতুন ডিটেনশন সেন্টরটি তৈরি হয়ে যাবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই।
[আরও পড়ুন: মাত্র ২ লক্ষ কর্মী চান পিকে, ২০২১-এ বাজিমাত করতে তৃণমূল গড়ছে নতুন 'টিম']
[আরও পড়ুন:অর্থনীতি নিয়ে মনমোহনের পরামর্শ শুনুন মোদী! শিবসেনা ফের পুরনো 'স্টান্স'-এ]