মণিপুরেও এবার ত্রিমুখী লড়াই, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইশতেহার প্রকাশ ‘সঙ্গী’ এনপিপি-র
মাস ফুরোলেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সমস্ত রাজনৈতিক দলই প্রচারে ঝড় তুলেছে। তার মাঝে এবার নতুন নতুন সমীকরণ গড়ে উঠেছে। উত্তরাখণ্ড ছাড়া বাকি রাজ্যগুলির মতো মণিপুরেও বদলাল সমীকরণ।
মাস ফুরোলেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সমস্ত রাজনৈতিক দলই প্রচারে ঝড় তুলেছে। তার মাঝে এবার নতুন নতুন সমীকরণ গড়ে উঠেছে। উত্তরাখণ্ড ছাড়া বাকি রাজ্যগুলির মতো মণিপুরেও বদলাল সমীকরণ। এবার আর মণিপুরের শাসকদল এনপিপি বিজেপিকে সঙ্গী করে নির্বাচনে লড়ছে না। অর্থাৎ মণিপুরেও লড়াই হতে চলেছে ত্রিমুখী।
সোমবার পৃথকভাবে ইশতেহার প্রকাশ করল এনপিপি। আগে তারা মণিপুরের ৬০টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। ফলে বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন হওয়ায় উত্তর-পূর্বের এই ছোট রাজ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দামামা বেজে গিয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আবার মনে করছেন মণিপুরে কংগ্রেস অতীতের ছায়া হলেও ত্রিমুখী লড়াই জমে যাবে।
এ মাসেই মণিপুরে গিয়ে প্রচারে ঝড় তুলে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তখনও স্পষ্ট হয়নি মণিপুরের সমীকরণ। বিজেপি এখানে এনপিপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে আলাদা লড়তে পারে সম্ভাবনা ছিল, সেটাই হতে চলেছে। সেই সমীকরণ পরিষ্কার হওয়ার পর বিজেপি যখন ৬০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে, এদিন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি সভাপতি কনরাড সাংমা, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ইউমনাম জয়কুমার সিং ও রাজ্য সভাপতি এল জয়ন্তকুমার সিং রবিবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরাও তৈরি এই লড়াইয়ে।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও এনপিপি জোট বেঁধে লড়াই করেছিল। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস এখানে বৃহত্তম শক্তি ছিল। কিন্তু কংগ্রেসকে সুযোগ না দিয়ে এনপিপি-বিজেপি অন্যান্যদের সহায়তায় মণিপুরে সরকার গড়েছিল। কংগ্রেস এ রাজ্যে ২৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। আর বিজেপি জিতেছিল ২১টিতে। এনপিপি পেয়েছিল ৪টি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্ট বা এনপিএফ পেয়েছিল ৪টি, তৃণমূল কংগ্রেস, লোকদল জনশক্তি পার্টি ও নির্দল একটি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেসকে আটকাতে সবাইকে মিলিত করে সরকার গড়েছিল বিজেপি।
এবার সেই জোট ভেঙে গিয়েছে অনেকটাই। বিজেপি ছোট দলগুলি থেকে বিধায়কদের নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে। এমনকী কংগ্রেস থেকেও বিজেপি ভাঙিয়ে বৃহত্তর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে বিজেপি। তাই বিজেপি মনে করছে, এবার তারা এখানে একাই কংগ্রেসের মোকাবিলায় প্রস্তুত। এখন দেখরা এনপিপি বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় কোনও প্রভাব পড়ে কি না। আদতে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হলে কোন দিকে মোড় নেয় রাজ্য রাজনীতি।
বিজেপির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, তারা মণিপুরে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এবার সরকার গঠন করবেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ কী হবে, তা বলবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মাঝে এই রাজ্যে বিজেপি বিপাকে পড়েছিল। কংগ্রেস ফের ক্ষমতা দখলের জায়গায় চলে গিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসে ফের ভাঙন ধরিয়ে বিজেপি সামলে নিয়েছিল সরকার। এখন দেখরা ২০২২-এর নির্বাচনে কোন পক্ষে রায় দেয় মণিপুরী জনতা।