ঘরে বসেই এবার ডাক ঘরের মাধ্যমে যে কোনও বিল জমার সুবিধা, নয়া রূপে এবার হাজির ডাক পরিষেবা
ডাক পরিষেবায় এবার সংযুক্ত হল নয়া পরিষেবা। এর ফলে এখন থেকে ডাক ঘরের মাধ্যমে নানা ধরনের অর্থ লেনদেনের পরিষেবা পাওয়া যাবে।
ডাক পরিষেবায় এবার সংযুক্ত হল নয়া পরিষেবা। এর ফলে এখন থেকে ডাক ঘরের মাধ্যমে নানা ধরনের অর্থ লেনদেনের পরিষেবা পাওয়া যাবে। যার মধ্যে পড়ছে সেভিংস ডিপোজিট, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, মানি ট্রান্সফার, ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার, বিল ও ইউটিলিটি পেমেন্ট। এমনকী মিলবে এন্টারপ্রাইজ ও মার্চেন্ট পেমেন্টস।
এইসব পরিষেবা এখন থেকে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা থেকেই দেওয়া হবে তা শনিবার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরজন্য এদিন দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বা আইপিপিবি-র উদ্বোধন করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী জানান, 'ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্য়াঙ্ক বা আইপিপিবি-র মাধ্যমে আমরা দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছব। প্রতিটি মানুষ ঘরে বসেই ব্যাঙ্ক ও ব্য়াঙ্কিং পরিষেবা পাবেন।'
আইপিপিবি-তে কেন্দ্রীয় সরকারের অংশিদারিত্ব থাকছে ১০০ শতাংশ। ডাক পরিষেবার বিশাল নেটওয়ার্ক-কে পরিচালনা করতে অর্থ জোগানে হিমশিম অবস্থা হচ্ছে। তাই এই বিশাল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে আর্থিক লেনদেন করে এটাকে লাভজনক সংস্থায় রূপান্তরের চেষ্টা করছে সরকার। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে অন্তত ৩ লক্ষ পোস্টম্যান ও গ্রামীণ ডাক সেবক রয়েছেন। আইপিপিবি-র প্রাথমিক পর্যায়ে দেশজুড়ে ৬৫০টি শাখা-তে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও ৩২৫০টি অ্যাকসেস পয়েন্টেও গড়ে তোলা হয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ডিসেম্বরের মধ্যে ১.৫৫ লক্ষ পোস্ট অফিস-কে আইপিপিবি-র সঙ্গে সংযুক্ত করার লক্ষ নেওয়া হয়েছে। খুব সহজেই যাতে গ্রাহকরা এর পরিষেবা পেতে পারেন তার জন্য মাল্টিপল চ্যানেলস তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে যেমন কাউন্টার সার্ভিসের মাধ্যমে এর পরিষেবা মিলবে, তেমনি রাখা হচ্ছে মাইক্রো এটিএম, মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ, এসএমএস ও আইভিআর সিস্টেম। এয়ারটেল বা পেটিম-এর মতো যে পেমেন্ট ব্যাঙ্কগুলি রয়েছে তার সঙ্গে ভারত সরকারের আইপিপিবি কড়া টক্কর দিতে তৈরি হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। ডাক পরিষেবা-র এই সংস্কারে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ৪০০কোটি এবং মানবসম্পদে ২৩৫কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্রী সরকার।