ইয়েদুরাপ্পা সরে দাঁড়ানোর পর এবার কী হবে কর্ণাটক বিধানসভায়
এখন প্রশ্ন হল, কী হবে কর্ণাটক বিধানসভায়। একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে বিজেপি আর সরকার গড়তে পারবে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস-জেডিএস এবার সরকার তৈরি করবে।
কর্ণাটকে আস্থা ভোটে না গিয়ে বিধানসভায় আবেগপ্রবণ ভাষণ দিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের চক্রান্তকে দোষারোপ করে শেষ অবধি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। যার ফলে আর আস্থা ভোট হল না। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না বলে সরে দাঁড়াল। [নাটক পৌঁছল ক্লাইম্যাক্সে! কর্ণাটকে আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা ইয়েদুরাপ্পার]
এখন প্রশ্ন হল, কী হবে কর্ণাটক বিধানসভায়। একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে বিজেপি আর সরকার গড়তে পারবে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস-জেডিএস এবার সরকার তৈরি করবে।
এদিন বিধানসভায় ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেই কং-জেডিএসের তরফে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানানো হবে যাতে এই জোটকে সরকার গড়তে রাজ্যপাল আহ্বান জানান।
রাজ্যপাল বাজুভাই বালা আবেদন জানালেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। এবার কংগ্রেস জেডিএস জোটকে সেই বিধানসভায় দাঁড়িয়েই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ফের আস্থা ভোট হবে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন প্রমাণ করতে পারলেই কর্ণাটকে নতুন করে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার কাজ শুরু করবে।
আপাতত যা খবর তাতে কংগ্রেস-জেডিএস, নির্দল ও বিএসপি বিধায়ক মিলিয়ে ১১৭টি আসন জেতা রয়েছে জোটের। ফলে সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ১১২-১১৩টি ভোট জোগাড় করা কোনওভাবেই অসুবিধার হবে না।
এবার ধীরে সুস্থে রাজ্যপাল বালা কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে সরকার গড়তে সময় দেবেন। এবং এই জোটের সরকার হবে।