ফের অমানবিকতার শিকার মা, মেয়ের মৃতদেহ কোলে রাত কাটল রাস্তায়
মেরঠ, ৫ সেপ্টেম্বর : ওড়িশার পরে এবার খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। ওড়িশার কালাহান্ডি, বালেশ্বর, মালকানগিড়ির পরে চরম অমানবিকতার শিকার হলেন মেরঠের এক মহিলা। জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইমরানার ছোট্ট মেয়ের। আর সেই মেয়ের মৃতদেহ আগলে রেখে সারা রাত হাসপাতালের বাইরেই কাটাতে হল অসহায় এই গরীব মা কে।
জেলা হাসপাতালেই মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোন প্রকার সাহায্য করা হয়নি তাকে এমনটাই অভিযোগ করেন ইমরানা। জেলা হাসপাতাল ইমরানার বাড়ির দুরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। তাই মেয়ের মৃতদেহ হাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল অ্যাম্বুলেন্সের। হাসপাতাল থেকে তা ব্যবস্থা না করায় শেষ পর্যন্ত ইমরানা নিজেই অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করতে শুরু করেন।[অমানবিক: মেয়ের মৃতদেহ কোলে ৬ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন অসহায় বাবা]
এক জন চালক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যেতে রাজিও হে যায় কিন্তু বাধ সাধে টাকায়। ওই চালক দেড় হাজার টাকা ভাড়া দিলে তবে যাবে বলে ।ইমরানার কাছে এতটাকা না থাকায় বাধ্য হয়েই সারাটা রাত মেয়ের মৃতদেহ আগলে মেরঠ জেলা হাসপাতালের সামনে রাস্তাতেই রাত কাটাতে হয়। তাতেও অবশ্য টনক নড়েনি প্রশাসনের। পরের দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে ওই মহিলা শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে করে মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
এর আগে ওড়িশাতেই দানা মাঝির ঘটনা সামনে এসেছিল। যেখানে অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে না পেরে নিজের স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে করে ১০ কিলোমিটার পথ হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন দানা মাঝি। এছাড়াও ওড়িশার মালকানগিরিতে মেয়ের মৃতদেহ কোলে করে ৬ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছে বাবাকে । তারপরে মেরঠের এই ঘটনা আরও একবার সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থা এবং অমানবিকতার ছবিটাকেই আরও প্রকট করে দিল। [কেউ সাহায্য করেনি, মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে ১০ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন স্বামী]