এবার গোষ্ঠী দ্বন্দ ইউপি-তে! যোগীকে আগামীর CM মুখ বললেন না শীর্ষ বিজেপি নেতা
এবার গোষ্ঠী দ্বন্দ ইউপি-তে! যোগীকে আগামীর CM মুখ বললেন না শীর্ষ বিজেপি নেতা
মোদী পরবর্তী বিজেপির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম সবচেয়ে বেশি চর্চায়। বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক দিয়েও নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের পরই তাঁর স্থান। তিনি ভারত সহ সারা বিশ্বের হিন্দুত্ববাদীদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় মুখ। তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ কিন্তু এবার তার বিরুদ্ধেই যেন বেসুরো লাগল দলের মন্ত্রীর গলার স্বর। তাহলে কি গুজরাটের পর দেশে বিজেপির অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি উত্তরপ্রদেশেও ঢুকে পড়ল দলীয় অর্ন্তদ্বন্দ! এ নিয়ে জল্পানা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
যোগী নন অন্য কেউও হতে পারেন আগামী মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ইউপির শ্রমমন্ত্রী!
শীর্ষ বিজেপি নেতা এবং উত্তরপ্রদেশের শ্রমমন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন ইউপিতে আগামীতে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা ভোটের পরই ঠিক হবে৷ প্রসঙ্গত ২০২২ এ উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে৷ আর যোগীর যা ইমেজ এখনও রয়েছে তাতে আশা করা যায় যোগী আদিত্যনাথকে মুখ করেই আগামীর ইউপি বিধানসভায় লড়াই করতে নামবে বিজেপি৷ কিন্তু এর মধ্যেই কোথাও যেন সুর কাটছে! রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার ভোটের জেতার জন্য লড়াই করব। জয় পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবেন কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন৷
ইউপি বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দের আঁচ!
একদিকে স্বামী মৌর্যের মতো ইউপির শীর্ষ বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী পরোক্ষে বলে দিচ্ছেন আগামীর বিধানসভা ভোটে যোগী মুখ নন। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বেই তাঁরা আগমী ভোট লড়তে চলেছেন। কারণ তাঁর নেতৃত্বেই ইউপিতে দুর্নীতি এবং বাহুবলি, গুন্ডাগিরি শেষ হয়েছে। আবার উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের গলায় শোনা গিয়েছে অন্য সুর৷ স্বামীর মতোই তিনি বলেছেন, ভোটের পর শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করবেন কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন!
এই দ্বন্দ কতটা চাপে রাখবে বিজেপিকে!
বিজেপির দিল্লি দখলের জন্য উত্তরপ্রদেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রধানমন্ত্রীর বারানসি থেকে দু'বার ভেটে লড়াই করা দেখলেই বোঝা যায়। ২০১৪ থেকে ২০১৯ উত্তরপ্রদেশের মানুষরা দু'হাতে ঢেলে ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে। খোদ মোদীজীও জানেন ২০২৪ এ তাঁকে আবারও দিল্লির মসনদে ফিরতে হলে ২০২২ এ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির ক্ষমতা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এমনিতেই একুশের ইউপির পঞ্চায়েত নির্বাচনে খারাপ ফলই করছে বিজেপি৷ তাতে আবার উপরি দলে যোগীর বিরোধিতা ও অর্ন্তদ্বন্দ! স্বাভাবিক ভাবে এই অর্ন্তদ্বন্দ চাপে রাখবে বিজেপিকে।