স্কুলে স্কুলে এবার পড়ুয়াদের গল্প শোনাবেন ঠাকুমারা!
ছোটবেলায় ঠাকুমা-দিদিমার মুখে গল্প শোনার মজাটাই আলাদা ছিল। কিন্তু আজকাল গ্যাজেটপ্রিয় শিশুদের দিন কাটে ভিডিওগেম বা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ঘেঁটে ঘেঁটেই।
ছোটবেলায় ঠাকুমা-দিদিমার মুখে গল্প শোনার মজাটাই আলাদা ছিল। কিন্তু আজকাল গ্যাজেটপ্রিয় শিশুদের দিন কাটে ভিডিওগেম বা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ঘেঁটে ঘেঁটেই। আর তাই এবার পুরনো সংস্কৃতি ধরে রাখতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজস্থানের শিক্ষা দফতর।
রাজস্থানের সরকারি স্কুলগুলিতে এবার পড়ুয়াদের ঠাকুমা-দিদিমাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে গল্প পড়ে শোনানোর জন্য। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেনীর পড়ুয়াদের জন্য গল্প শোনার আলাদা সেশন রাখা হবে।
শিক্ষা দফতরের তরফে নমুনা হিসাহে কিছু গল্পের বই দেওয়া হবে। যে ঠাকুমা-দিদিমারা স্কুলে আসতে ইচ্ছুক তাদের থেকেই 'গল্প দিদু' বেছে নেওয়া হবে। যদি ঠাকুমা বা দিদিমারা অনুপস্থিত থাকেন সেক্ষেত্রে স্কুলের প্রবীন শিক্ষিকারা এই বিশেষ সেশনে পড়ুয়াদের গল্প পড়ে শোনাবেন।
স্কুল শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর অরুণ কুমার জানিয়েছেন, 'বাল সভা'-র অংশ হল এই সেশন। রাজস্থানের সরকারি স্কুলগুলিতে প্রত্যেক শনিবার এই সেশন হবে। ছাত্রছাত্রীরা ঠাকুমা-দিদিমার কাছ থেকে গল্প শোনার সুযোগ পাবেন।
স্কুল শিক্ষা দফতরের মতে, পুরনো দিনের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ। ঠাকুমাদের মুখে গল্প শোনা এত আকর্ষণীয় যে পড়ুয়াদের শোনার ধৈর্য্য ও ক্ষমতাও এর মাধ্যমে বৃদ্ধি পাবে।