গুরুত্বপূর্ণ মামলাকে অগ্রাধিকার, নোটবন্দি সহ একাধিক মামলার শুনানি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের
গুরুত্বপূর্ণ মামলাকে অগ্রাধিকার, নোটবন্দি সহ একাধিক মামলার শুনানি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের
নোটবন্দি (২০১৬) এবং অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন বিভাগগুলোর জন্য সংরক্ষণ (২০২০) সহ একাধিক গুরুত্বপূ্র্ণ মামলা কার্যকরভাবে এগিয়ে আনতে সুপ্রিমকোর্টের তরফে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট বুধবার ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ মামলা বাছাই করেছে। পরবর্তী সপ্তাহ থেকেই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি শুরু হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ
২৬ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা অবসর নিচ্ছেন। ২৭ অগস্ট বিচারপতি ইউইউ ললিত দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন। এর ঠিক দুই দিন পরেই অর্থাৎ ২৯ অগস্ট সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথমে মামলাগুলোকে তালিকাভুক্ত করা হবে। তারপর সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলাগুলোর শুনানি শুরু হবে। দেশের স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের মনোনীত প্রধান বিচারপতি স্থায়ী সাংবিধানিক বেঞ্চের কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের স্থায়ী সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর শুনানি এগিয়ে আনার জন্য জোর সওয়াল করেন।
একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি
সুপ্রিম কোর্টে একাধিক গুরুত্বপূর্ম মামলা হয় দীর্ঘদিন মুলতুবি রয়েছে। নয়তো বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর কোনও মীমাংসা হয়নি। অসমের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি রয়েছে। এছাড়াও সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা (২০১৬) বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি রয়েছে, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলাগুলোকে সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তালিকাভুক্ত করা হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
স্থায়ী সংবিধানিক বেঞ্চের জন্য বিচারপতি ললিতের সওয়াল
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর ইউ উমেশ ললিত দেশের শীর্ষ আদালতে স্থায়ী সংবিধানিক বেঞ্চের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেন, 'যখন সুপ্রিম কোর্টে সাত আট জন বিচারপতি ছিলেন, আদালত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করতে পারত। কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতি রয়েছে। তবে এখন কেন পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চ গঠন করা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতি ও সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানের ভিত্তিতে পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চের প্রয়োজন। অতীতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিচারপতি ভি কৃষ্ণ আইয়ার তাঁর সাত বছরের মেয়াদে ৫৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিচারপতি পিএন ভগবতী ১১৩টি সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমার মনে হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টে আমরা পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চ তৈরি করতে পারি।'
রেলের চাকরির বিনিময়ে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় দেশজুড়ে সিবিআইয়ের তল্লাশি, উদ্ধার ২০০টি জমির দলিল