৯৯.৯৯ পেয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না, চতুর্থ চেষ্টায় JEE তে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে শীর্ষে পুলকিত
৯৯.৯৯ পেয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না, চতুর্থ চেষ্টায় JEE তে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে শীর্ষে পুলকিত
চারবারের প্রচেষ্টায় JEE-র টপারদের তালিকায় পুলকিত গোয়েল৷ আগের তিনবারও পুলকিত JEE তে যা রেজাল্ট করেছিল তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়৷ ওই রকম রেজাল্ট যে কোনও ভালো ছাত্রের স্বপ্ন৷ কিন্তু ১০০ শতাংশ স্কোর আসেন। অতএব আবার চেষ্টা এবং চতুর্থ বারে পারফেক্ট একশ আসে পুলকিতের ঝুলিতে৷
পঞ্জাবের ভাতিন্ডার ছেলে পুলকিত ২০২১ সালেই মোট চারবার JEE মেইনসে বসেন৷ প্রথমে ফেব্রয়ারি তিনি জেইইতে ৯৯.৮৮ স্কোর করেন৷ সর্বভারতীয় স্তরের এই পরীক্ষায় এই স্কোর নিসন্দেহে ভালো৷ এই স্কোর পুলকিতকে দেশের যে কোনও আইআইটিতে পড়ার সুযোগ দিত। কিন্তু শুধু পড়লেই তো হবে না শীর্ষে থাকাই লক্ষ্য ছিল পুলকিতের তাই ২০২১ এ আরও তিনবার চেষ্টা। চলতি বছরের মার্চে তৃতীয়বারে ৯৯.৯৯ স্কোর করেছিলেন পুলকিত৷ এবং তারপর আরও একবার জেইই মেইনস পরীক্ষায় বসেন পুলকিত৷ বুধবার জেইই মেইনেস যে ফল বেরিয়েছে তাতেই ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন পুলকিত৷ সারা দেশে জেইইতে এরকম ১০০ শতাংশ নম্বর মোট ১৮ জন পেয়েছেন৷ পুলকিত এদেরই একজন।
২০০৩ সালে পাঞ্জাবের ছোট গ্রাম ভাতিন্ডায় জন্মেছেন পুলকিত৷ ছাত্র জীবনের শুরু থেকেই একজন টপার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সে। দ্বাদশ শ্রেণীতে ৯৪.৮ এবং দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৯৮.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন জেইই-র এই টপার। পুলকিতের বাবা বিজয় কুমার গোয়েল একজন ব্যবসায়ী এবং তার মা একজন গৃহিণী। অনার্সের ছাত্র পুলকিত ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি থেকে প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনোর স্বপ্ন দেখতেন ছোট থেকেই। এর জন্যই অনেক সময় নিয়ে নিজেকে জেইই-এর তৈরি করেছেন তিনি৷ কেমন ছিল সেই প্রস্তুতি পর্ব? একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলকিত জানিয়েছেন তিনি কোটার একটি কোচিং সেন্টারে শেষ একবছর ধরে পড়াশুনো করেছেন। যেখানে পরীক্ষা প্রস্তুতির উপষুক্ত পরিবেশ ছিল৷ শিক্ষকরা ধৈর্য ধরে প্রশ্নগুলো শুনতেন এবং যে কোন গাণিতিক সমস্যার সমাধান আগ্রহ নিয়ে সমাধান করতেন৷ পাশাপাশি এই রকম ফলের জন্য তারাই পুলকিতকে বারবার উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেইই টপার।
প্রসঙ্গত এই জেইই নিয়েও সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন বিতর্ক হয়েছে৷ অনেকেই দাবি করেছেন এই ধরণের সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলোই ইংরাজি ও হিন্দি মিডিয়ামের ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ সুবিধা পায়৷ তুলনায় গ্রামে বাংলা বোর্ডের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ভাষাগত কারণে পিছিয়ে পড়ে এই ধরণের সর্বভারতীয় পরীক্ষায়৷