রাহুল-প্রিয়াঙ্কায় আস্থা নেই, দলের সভাপতি পদে কংগ্রেসের বিদ্রোহীদের পছন্দ কে? চড়ছে পারদ
রাহুল-প্রিয়াঙ্কায় আস্থা নেই, দলের সভাপতি পদে কংগ্রেসের বিদ্রোহীদের পছন্দ কে? চড়ছে পারদ
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের দিকে যখন সকলের নজর। ঠিক তখনই জেগে উঠকেন বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেসের জি-২৩ নেতারা প্রথম থেকেই গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে নেতৃত্বে চাইছিলেন। ২০২২-র চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেেসর ভরাডুবি তাঁদের সেই দাবিকে আরও জোরাল করেছে। কংগ্রেসের সভাপতি পদে তাঁরা মুকুল ওয়াসনিককে দাবি করেছেন।
নজরে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক
চার রাজ্যে কংগ্রেসের বিপুল হারের পর তড়িঘড়ি সোনিয়া গান্ধী দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকেন। আজই দিল্লিতে সেই বৈঠক হওয়ার কথা। দলের তাবর নেতৃত্বের পাশাপাশি সেই বৈঠকে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও যে থাকেবন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ওয়ার্কিং কমিঠির বৈঠক ঘিরেই রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়েছে। গান্ধী পরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন একদন নেতা। তাঁদের দাবি যে এই নির্বাচনের ফলাফলের পর আরও প্রকট হবে তাতে সন্দেহ নেই।
বিদ্রোহীরা কাকে নেতৃত্বে চাইছেন
সোনিয়া গান্ধীর জায়গায় কে আসবেন নেতৃত্বে। কংগ্রেসে এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। সোনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধীকে একটা সময়ে কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-র লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের বিপুল পরাজয়ের পর সেই হারের দায় মাথায় নিয়ে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তারপরেই ফের নেতৃত্বের সংকট তৈরি হয়েছিল। শেষে সোনিয়া গান্ধীকেই সাময়িক ভাবে সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু বিদ্রোহীরা এবার গান্ধী পরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন তাঁরা। দলের সভাপতি পদে মুকুল ওয়াসনিরকে দাবি করতে শুরু করেছেন।
বিদ্রোহী কারা
কংগ্রেসে এই গান্ধী পরিবারের থেেক ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে চান যাঁরা সেই তালিকায় রয়েছেন প্রায় ২৩ জন নেতা। তার মধ্যে রয়েছেন যেমন গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিবলের মত নেতারা। তাঁরা প্রথম থেকেই রাহুল গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ছত্রছায়া দল চালানোর বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন এবার গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে দলের রাশ দেওয়া হোক। কিন্তু সিংহভাগ নেতাই সেই গান্ধী পরিবারের উপরেই আস্থা রাখতে চেয়েছেন। তাঁরা বারবার দাবি করেছেন, এবার অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।
দাবি মানতে নারাজ
বিদ্রোহীদের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। রণদীপ সুরদেওয়ালা বারবার দাবি করেছেন জি-২৩ নেতাদের দাবি অহেতুক। এই দাবি মেনে নেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। এদিকে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে আজকের বৈঠকে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পদত্যাগ করতে পারেন। কারণ তাঁদের দেখানো পথেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে লড়েছিল কংগ্রেস।